গোটা দেশজুড়ে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিউনে ভোট জালিয়াতিসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করারও অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকজন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। আর এরই মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে লড়ছিলেন ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সায়মন সাদিকের বাবা মো. সাদেকুর রহমান। তবে জিততে পারেননি। হেরে গেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত আলীর কাছে।
গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় মহিনন্দ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত আলী আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাদেকুর রহমানের থেকে এক হাজার ১১১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তবে বাবার এই পরাজয় মানতে পারছেন না জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা সায়মন সাদিক। তিনি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাশাপাশি দুটি কেন্দ্রে আবারও ভোটগ্রহণের দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার একটি সংবাদ সম্মেলন করে সায়মন বলেন, ‘৩ নং কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি এবং ৮ নং কেন্দ্রে নৌকার ব্যালট ছিড়ে ফেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে ইউএনওর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবো।’
চেয়ারম্যান পদে বাবাকে বিজয়ী করতে সিনেমার সব শিডিউল বাতিল করে নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করেন সায়মন। দিন-রাত চষে বেড়ান নির্বাচনী মাঠ। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চান পাড়া-মহল্লার প্রতিটি ঘরে।
সায়মনের বাবা সাদেকুর রহমান মহিনন্দ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা। মাঝে একটা বিরতির পর এ বছর আবার তাকে মনোনয়ন দেয় দল থেকে। কিন্তু হেরে গেলেন অল্প ভোটে। এবার দেখার পালা, সায়মনের পদক্ষেপে কোনো আশার আলো খুঁজে পান কি না তার বাবা।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে্ গত বেশকিছু দিন ধরে অনেকটা ব্যস্ত ছিলেন সায়মন সাদিক। ফলে অভিনয় জগত থেকে অনেকটা দুরে সরে গিয়েছেন তিনি। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আবারও অভিনয়ে নিয়মিত হবেন, এমনটাই আশা ভক্ত-শুভাকাঙ্খিদের।