গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দলকে বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে করে যাচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম। তিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সম্মানীয় পদে থাকাকালীন সময়ে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত=ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার এক বক্তব্যে বলেছেন আমাদের নেতাকর্মীরা এখনও ফাইনাল খেলায় নামেনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে তিনি গণতান্ত্রিক বিশ্বের সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা এখনো চূড়ান্ত খেলায় নামেনি। প্রশাসনে যারা আছেন, তারা জনগণের পাশে থাকুন। আমাদের নেতাকর্মীদের প্রাণনাশের কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য অতি উৎসাহ দেখালে তার জবাব কিন্তু জনগণই দেবে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে জ্বালানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ভোলায় ছাত্রদল নেতা নূরে আলম, স্বচ্ছসেবক আবদুর রহিম প্রাণনাশের প্রতিবাদে বিএনপির মিরপুর জোন আয়োজিত সমাবেশে গয়েশ্বর রায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যারা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছেন, তাদের কোনো রক্তই বৃথা যায়নি। অতীতের অনেক ঘটনাই তার প্রমাণ। রক্ত দিয়ে যেমন স্বাধীনতা কিনেছি, গণতন্ত্র এনেছি। একই রক্ত দিয়ে আমরা স্বাধীনতা রক্ষা করব এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।
দেশের ৯০ শতাংশ পুলিশ খারাপ উল্লেখ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ওই ৯০ শতাংশ পুলিশকে বলব; আপনাকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আপনার চাকরি হবে না- এটা খুবই ভুল ধারণা। আমরা জানি আপনি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কি করছেন। আপনারা যারা অতি উৎসাহী, তাদের সবার তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যাবে। আমাদের শত্রু ভাববেন না, আপনি জনগণের জন্য এসেছেন। মানুষ আপনাকে সম্মান করবে। মনে করেন না মানুষ আপনার পোশাক দেখে ভয় পায়; তারা আপনার পোশাককে সম্মান করে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অনি, তাবিথ আউয়াল, বজলুল বাছিত আনজু, নাজিম উদ্দিন আলম, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, রফিকুল আলম মজনু, মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, রাজীব আহসান, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনিমূলক কর্মকান্ড বিভিন্ন সভা ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে পালন করছেন। সমাবেশে উচ্চ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত হয়ে টাডের মূল্যবান বক্তব্য দিচ্ছেন কর্মীদের উদ্দেশ্যে। আসন্ণ নির্বাচনে সবাইকে একত্র হয়ে বিজয়ের লক্সে কাজ করে যাবার জন্যও টাগিদ দিচ্ছেন নেতারা।