মোবাইলে বানর ও মুরগি দৌড় খেলা দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের ভেতর নিয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে জোরপূর্বক অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠে চাচা আবুল কাশেমের (৫২) বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বিষয়টি ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর বাবা স্থানীয় থানায় অবগত করলে আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ উজানচর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার আবুল কাশেম গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ উজানচর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত নায়েব আলী বেপারীর ছেলে মো. পেশায় তিনি গোলন্দ বাজারের ব্যবসায়ী। এর আগেও তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট রাতে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
নিহতের বাবা জানান, আবুল কাশেম তার চাচাতো ভাই। দুটো বাড়িই পাশাপাশি। আরেক চাচাতো বোনের মেয়ের জন্মদিনের পার্টির পর আমরা বাসায় আসলাম। আমার মেয়ে বাড়ির অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলছিল। আবুল কাশেম আমার মেয়ে ও আরেক ভাগ্নীকে বাড়িতে ডেকে মোবাইলে বানর ও মুরগির দৌড় খেলা দেখায়। পরে সে ভাগ্নিকে বের করে নিয়ে আমার মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে তাকে খারাপ করার চেষ্টা করে। পরে সে চিৎকার করলে মুখ আটকে রাখে।
সে কোনরকমে ছুটে আসে। বিষয়টি আমার স্ত্রীর কাছে জানালে ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানানো হয় এবং অভিযুক্তের স্ত্রীর সামনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি স্বীকার করেন। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ঐ শিশুর বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই মধ্যে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।