নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল ইমন মিয়াকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, কনস্টেবল ইমন উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ট মতিউর নগর এলাকার মাহে আলমের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত এবং দুই সন্তানের জনক। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রায়পুরা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন ভিকটিম তরুণী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দেড় বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিকটিম ইমনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ইমন ওই তরুণীকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে কয়েক দফা শারীরিক সম্পর্ক করে। সম্প্রতি দুজনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। গত রোববার দুপুরে বান্ধবীর বাসায় দেখা করতে আসেন তিনি। পরে সে আবার শারীরিক মিলন করতে চাইলে ওই তরুণী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ সময় তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই তরুণীর পরিবার ও এলাকাবাসী ইমনকে আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।
নির্যাতিতা মেয়েটি জানায়, ইমন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকবার আমার সাথে সঙ্গম করেছে। এখন সে আমাকে বিয়ে করতে চায় না। এ ঘটনায় আমি ইমনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।
রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম জানান, তরুণীর ঘটনায় অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।