Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুর মতো নিহত হবো, ইলিয়াস আলীর মতো গুম হবো: নূর

প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুর মতো নিহত হবো, ইলিয়াস আলীর মতো গুম হবো: নূর

চা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য  প্রতিবাদ সমাবেশের আয়যোন করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর। তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দেন ওই প্রতিবাদ সমাবেশে। তনি বলেন, আমরা ভারতের রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না।

দরকারে আমাকে বঙ্গবন্ধুর মতো হত্যা করা হবে হোক, ইলিয়াস আলীর মতো গুম করা হবে হোক। জীবনের মায়া ত্যাগ করে আমি রাজনীতিতে এসেছি।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চা শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সমালোচনা করে নুরুল হক নূর বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে ভারতে যাচ্ছেন। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির আগে জাতীয় সংসদের উচিত জনগণকে জানানো যে চুক্তিটি কী হবে।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে শ্রমিক শ্রেণির মধ্য থেকেই নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। শাজাহান খান বা মশিউর রহমান রাঙ্গার মতো শ্রমিক নেতারা শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার আদায় করতে পারবে না।

নুরুল হক নূর আরও বলেন, চা শ্রমিকরা দালাল নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের অধিকার আদায়ে ‘চা শ্রমিক অধিকার পরিষদ’ নামে একটি পৃথক সংগঠন গড়ে তুলেছেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, ৩০০ টাকা মজুরি দিয়ে সাময়িক সমস্যার সমাধান করা যায়। কিন্তু সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য সকল শ্রমিকের জন্য প্রচলিত বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ন্যূনতম অভিন্ন জাতীয় মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা উচিত। একটি অভিন্ন ন্যূনতম জাতীয় মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় ন্যূনতম ন্যায্য মজুরি কমিশন গঠন করা উচিত।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সোহেল শিকদার, ওমর ফারুক সন্দ্বীপ, জনঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মাওলানা ওমর ফারুক, সদস্য সচিব শামীম মোল্লা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক শিপন, দপ্তর সম্পাদক আবদুল করিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চা শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে তারা। তবে তাদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এরপর অনেকেই কাজে ফিরে যায়। তবে বেশিক্ষন তাদের নিরব রাখা সম্ভব হয়নি। শুরুতে শ্রমিকেরা ১৪৫ টাকার সিন্ধান্ত মেনে নিলেও, কয়েক ঘণ্টা পর আবারো বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। তাদের দাবি আমাদের ন্যায্য মূল্যে ৩০০ টাক দিতে হবে।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *