বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বেশ কয়েকবার খারাপ কাজের অভিযোগ উঠেছে মুরাদুজ্জামান মকুল নামের ৪৮ বছর বয়সী এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ঐ কিশোরী কোনো উপায় না পেয়ে ঐ ব্যক্তির বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি চিঠি দিয়েছেন। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় বেশ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
চিঠির আসল কপি ৩ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। শনিবার সকালে ওই স্কুলছাত্রীর লেখা ১০ লাইনের চিঠির ফটোকপি আমাদের প্রতিনিধির কাছে পৌঁছেছে।
অভিযুক্ত মুরাদুজ্জামান মকুল উপজেলার শৈলমারী গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে এবং জালশুকা হাবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক। চিঠিতে মেয়েটি খারাপ কাজ করা ঐ ব্যক্তিকে মানব পশুর সঙ্গে তুলনা করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে।
মুরাদুজ্জামান মুকুল দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। পেশায় প্রভাষক। বউও স্কুলে পড়ায়। বাড়িওয়ালা দম্পতিও চাকরিজীবী। মা-বাবা চাকরি করায় দশম শ্রেণির মেয়েটি বাড়িতে একা থাকত। মুকুলও একাকী সময় কাটাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে বাড়িওয়ালার মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে মুকুলের। কিন্তু বাড়িওয়ালার মেয়ের প্রতি মুকুলের অন্য দৃষ্টি ছিল।
সম্প্রতি, ৪৮ বছর বয়সী প্রভাষক মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে কিছু ছবি তোলেন। আর এসব ছবিই কাল হলো বাড়িওয়ালার মেয়ের। বাড়িতে কেউ না থাকায় মুকুল মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খারাপ কাজ করে। আপ”ত্তিকর দৃশ্যটি তিনি মোবাইল ফোনেও রেকর্ড করেন। এরপর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকবার ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন তিনি। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল মুকুল।
এ ঘটনায় শেষপর্যন্ত মেয়েটি প্রধানমন্ত্রীর নিকট সুবিচার চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানা জানি হলে মেয়েটি এখন বাইরে বের হতে পারে না। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে গৃহবন্দি করে জীবন যাপন করছে মেয়েটি। এই ঘটনায় তার পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।