বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে প্রবাসীদের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর কোটি কোটি বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের নিয়ে আসার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা। বছরের-পর-বছর নিজ দেশ ও স্বজন ছেড়ে বিদেশের মাটিতে দিন রাত পরিশ্রম করেও বাংলাদেশে আসে অবহেলিত হয় অনেকেই। এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি পিনাকী ভট্টাচার্য তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে একটি পোস্ট করে।
তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে লিখেছেন, প্রবাসীরা যাদের রেমিট্যান্স বাংলাদেশের রিজার্ভ পূরণ করে তারা বাংলাদেশী বিমানবন্দরের কর্মচারী, অভিবাসন কর্মকর্তা এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দ্বারা দুর্ব্যবহার করা হয়। ব্যাগ চুরি করে যখন তিনি পরিবারের জন্য কিছু কিনেন, তখন ব্যাগটি কেটে বের করেন। মধ্যবিত্ত সরকারি কর্মচারীরা তাদের দেখে হাসে। এটাই বাংলাদেশ। কাকে সম্মান করতে হবে তা সে জানে না। সে জানে না কে তার ফুটানির ব্যবস্থা করতে দিনরাত পরিশ্রম করছে।
এই অবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার। কিভাবে?
১/দূতাবাস এবং বিমানবন্দরের কর্মীদের চাকরির 1/10% প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ করা উচিত।
2/ যারা রেমিট্যান্স পাঠাবেন তাদের প্রেরিত পরিমাণের ভিত্তিতে দেশে ফেরার পর সংশ্লিষ্ট প্রবাসীদের আজীবন পেনশন দেওয়া হবে।
৩/ সকল প্রবাসী রেমিট্যান্স প্রদানকারীরা একটি আজীবন কার্ড পাবেন যেখানে সরকারি বাস ট্রেনে ভাড়া-মুক্ত ভ্রমণ দেখানো হবে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন।
৪/ সকল উপজেলায় প্রবাসী পরিবারের তালিকা থাকতে হবে এবং প্রতি বছর উপজেলা পর্যায়ে প্রবাসী পরিবারের সাথে দিনব্যাপী সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রবাসী পরিবারগুলো তাদের সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানাবে এবং তার ভিত্তিতে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
৫/রেমিট্যান্স দাতা বছরে একবার তার কর্মস্থল থেকে ফিরে আসলে বাংলাদেশ বিমানের ভ্রমণ ভাড়ায় 5/25% ছাড় দেওয়া হবে।
৬/ প্রবাসী রেমিট্যান্স দাতাকে বিশেষ পাসপোর্ট দেওয়া হবে।
৭/ প্রবাসীদের কাজের কাগজপত্র না থাকলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নথিপত্রের ব্যবস্থা করাই হবে দূতাবাসের প্রধান কাজ।
দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীরা যে অমূল্য অবদান রাখে তার তুলনায় এই সুবিধাগুলি ফ্যাকাশে। এই অভিন্ন দাবিতে প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হন। আপনার অবদানের ন্যায্য অংশ বুঝতে.।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি বিদ্যুতের ঘাটতি এছাড়া সম্প্রতি জ্বালানি তেল বৃদ্ধিতেও নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। এসকল সমস্যার জন্য বর্তমান সরকারকে দায়ী করছেন বিরোধী দলের অনেক নেতাবৃন্দরা। এছাড়া বাংলাদেশের মুদ্রার মান দিনে দিনে কমে যাচ্ছে বেড়ে যাচ্ছে ডলারের দাম এই নিয়ে চলছে নানা ধরনের বিতর্ক। এ সকল সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন দেশবাসী ।