বাংলাদেশের জাতিক জনক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি বাংলাদেশকে পাক হানাদার বাহীনির কাছে থেকে মুল্তু করার জন্য অসীম অত্মত্যাগ করেছেন যা ইতিহাসের পাতায় বিরল। তারই সুযোগ্য কন্যা হলেন বাংলাদেশের বারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জনেনত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি জানা গেছে শেখ মুজিভর রহমানকে প্রণানাশের পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বেলজিয়ামে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া সেই রাষ্ট্রদূতের পরিবারের জালিয়াতি পড়েছে ধরা।
বঙ্গবন্ধুকে প্রাণনাশের পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বেলজিয়ামে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর ঢাকার জেলা জজ আদালতে ধরা পড়ে তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের পরিবারের প্রতারণা।
বেলজিয়ামের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ইতিহাসের এই চরম সত্য বারবার উঠে এসেছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখে। ওই ঘটনার ৪৭ বছর পর নাম পরিবর্তন করে সানাউল হকের পরিবারের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে ঢাকার আদালতে। বাড়ি বিক্রির জন্য বাবার নাম পরিবর্তন করা হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮-এর অধীনে সানাউল হকের বড় ছেলে প্রতিবন্ধী ইরতেফা মামুনের দেহ ও সম্পত্তির অভিভাবকত্ব চেয়ে ঢাকা জেলা জজ আদালতে মামলা করেন সানাউল হকের বোন ইতত মামুন। যেখানে সানাউল হকের নাম লেখা আছে প্রয়াত এ এম সানাউল হক।
সানাউল হকের পরিবার ২০১৫ সালে গুলশানের আরেকটি বাড়িও নিজেদের নামে বিক্রি করে দেয়। গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিচারক এসব নথি দেখে সানাউল হকের বিস্তারিত পরিচয় জানতে চান। শুরুতে তারা তাদের পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানালেও একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, এই সানাউল হকই তখন বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত যিনি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বেলজিয়াম দূতাবাসের বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলেন।
মামলার নথি থেকে দেখা যায়, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়িটিকে সানাউল হকের পরিবারের ৫ সদস্য দাবি করেন। তারা আইয়ুব খানের শাসনামলে গুলশান ও ধানমন্ডি দুটোই জমি পেয়েছিলেন। তবে এরই মধ্যে গুলশানের বাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাম পরিবর্তন করে ধানমন্ডির বাড়ি বিক্রি করতে পারলে তারা পুরোপুরি দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বেলজিয়ামের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাসায় অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে প্রাননাশের পর বদলে যান সাবেক রাষ্ট্রদূত সানাউল হক।
খন্দকার মোশতাকের সহযোগী সানাউল হককে বঙ্গবন্ধু খুব স্নেহ করতেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু তাকে রাষ্ট্রদূত করেন।
প্রসঙ্গত, প্রতারণা করে কেউ কোনোদিন ছাড় পায় না, আকদিন না একদিন তাকে বিচারের কাটগড়ায় দাঁড়াতেই হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তার বোনকে বেলজিয়ামের বাড়ি থেকে বের করে তারা ভেবেছিল ছাড় পেয়ে যাবে কিন্তু সমট ঠিকই তাদেরকে চিহ্নিত করে জনসম্মুখে নিয়ে এসেছে।