বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করছেন হালিমা খাতুন। এবার তার সাথে অশা’লীন আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে ঐ বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঐ শিক্ষকের নাম মো. কামরুজ্জামান যাকে ঐ ঘটনার পর সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ঐ শিক্ষকের অশালীন আচরনের জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মা’মলাও দায়ের করা হয়েছে।
তাহমিনা খাতুন যিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাটির বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন। সেখানেও সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে- গত ১১ অক্টোবর গণমাধ্যমে রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণের খবর প্রকাশ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেমায়েত আলী তদন্ত করে ২১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ তদন্তে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে বিদ্যালয় চলাকালে অশালীন আচরণের সত্যতা পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামানকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এ সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন। এছাড়া সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মাম’লা রুজু করা হয়েছে। মা’মলায় তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ব্যক্তিগত শু’নানিতে অংশ নিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার গত ৯ অক্টোবর নৈমিত্তিক ছুটিতে ছিলেন। তার অনুপস্থিতির কারণে প্রধান শিক্ষিকা ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামানকে চতুর্থ শ্রেণির গণিত ক্লাস নিতে বলেন। তখন সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুনের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গা’লিগা/লাজ করেন।
এর আগেও ওই শিক্ষক মাঝে মধ্যে দা’পট দেখিয়ে ঐ শিক্ষিকার সাথে দূর্ব্যাবহার করেছে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ছাড়াও হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করতে ঐ শিক্ষিকা বা’ধ্য হয়েছেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলের দিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এটা সত্য কিন্তু তিনি এর বিরুদ্ধে কোনো আপিল করবেন না। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্যও করবেন না।