গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ম্যাঞ্জেজারে এক স্কুল শিক্ষার্থীর সঙ্গে চ্যাটিং করে রীতিমতো বেশ আলোচনায় এসেছেন নরেশ হালদার নামে গেরহাটের মোংলার এক প্রধান শিক্ষক। ইতিমধ্যে ঐ শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার করা চ্যাটিংয়ের একটি স্ক্রিনশটও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হতে দেখা গেছে। আর এ নিয়েও গোটা এলাকাজুড়ে বইছে তীব্র শোরগোল।
জানা যায়, শিক্ষকের ঐ চ্যাটিং নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন শিক্ষার্থী নুর নাহার নয়না। যেখানে লেখা “হাসি খুশি মানুষ আমার খুব পছন্দ, তোমার সেই হাসি খুশি মুখ আমার এখনও মনে আছে”
নুর নাহার নয়নার ফেসবুকে গিয়ে দেখা যায়, তিনি লিখেছেন-“আহ্ মাই ফেবারিট টিচার তার পর লাভ রিয়েক্ট….সব থেকে বড় কথা আমার সম্মানীয় টিচার আমাকে এত বছর পরেও আমাকে মনে রেখেছে, এটা সত্যি আমি খুব লাকী স্টুডেন্ট”। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর পর গার্লস্ স্কুলের অন্যসব শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, একজন প্রধান শিক্ষকের কাছে এটা আশা করা যায় না। এটার বিচার হওয়ার উচিৎ।
এদিকে এ ঘটনায় মোংলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ারুল কুদ্দুস বলেন, প্রধান শিক্ষক নরেশ হালদারকে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরেও এরকম আবার কিছু হলে পরবর্তিতে ব্যবস্থা নেব।
তবে এ ব্যাপারে ঐ স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে দাবি করেন, “নয়না একসময় আমার ছাত্রী ছিল, তার সাথে (শিক্ষার্থী) যেটা হয়েছে সেটা এমন না যে আপত্তিকর। যেহেতু সে অবিবাহিত এ জন্য আমি ছাত্রীর দৃষ্টিতে তার সাথে কথা বলেছি”।
তবে তার এ বিষয়টি ভালো দিকে নিচ্ছেন না নেটিজেনরা। অনেকে দাবি করেছেন, কোনো শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীকে এ ধরণের কথা-বার্তা বলতে পারেন না। এর পেছনে তার কোনো কুমতলব রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। আর সেই ধারাবাহিকতায় আইনশৃঙ্খা বাহিনীকে এ বিষয়টি খুতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তারা।