শিক্ষকেরা দেশ ও জাতি গড়ার কারিগর। সমাজের মানুষ তাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। সময়ের সাথে সাথে নৈতিকতার অবক্ষয় ইদানিং দেখা যাচ্ছে শিক্ষকমহলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষকেরা যদি নৈতিক অবক্ষয়ের ভিতরে প্রবেশ করে, তবে দেশ ও সমাজ নষ্ট হওয়ার শ্রেষ্ঠ ধাপ বলে বিবেচনা করা হয়।
স্কুলগুলোতে মাঝেমধ্যেই শিক্ষার্থীরা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো সেই ঝগড়া হাতাহাতিতে রূপ নেয়। আর শিক্ষকরা এসে ছাত্রদের এই সমস্যা মিটিয়ে দেন। তবে এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষককে ঘুষি মারেলন প্রধান শিক্ষক নিজেই। শিক্ষকের আচরণে ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের( West Bengal ) উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গার বাজিতপুর( Bajitpur Deganga Pargana ) উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলে( MSK school ), শুক্রবার( Friday ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক কার্তিক পালকে( Kartik Palke ) এলোপাতাড়ি মা”রধর করেন প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ। একপর্যায়ে জয়দেব কার্তিককে নাকে ঘু’ষি মারে। নাকে গুরুতর চোট পেয়ে মেঝেতে চলে যান কার্তিক। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে( Deganga Bishwanathpur Hospital ) ভর্তি করে।চিকিৎসকেরা তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঘোষণা করার পর তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এদিকে কার্তিকের অবস্থা দেখে শিক্ষার্থীরা ভ’য়ে ছুটতে থাকে।এ প্রসঙ্গে কার্তিক বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। সেই অবস্থায় সে প্রতিদিন স্কুলে আসছে। তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পান। এখন আমার চিকিৎসার জন্য সেই টাকা দরকার। তিনি বলেন, বকেয়া টাকা চাওয়ার পরই ঝগড়া শুরু হয়।
কোন জাতি ধ্বং”স করতে হলে, প্রথমে সে জাতির শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বং”স করে দা’ও। তাহলে দেখবে সে জাতি এমনি ধ্বং”স হয়ে গিয়েছে। ব্রিটিশ শাসকদের এই উক্তিটি, আজও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাদের ধারনা মতে, শিক্ষা-সংস্কৃতি ধ্বংস করতে হলে, শিক্ষকদের পথভ্রষ্ট করতে হবে। শিক্ষকদের নৈতিক অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে, অবশ্যই সমাজের মানুষকে সচেতন হতে হবে। শিক্ষকরা যাতে সভ্য ও সুশীল সমাজে নিজেদের কর্মতৎপরতা ব্যক্ত করতে পারে, তাদেরকে সেই সুযোগ করে দিতে হবে।