মালয়েশিয়াতে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। তবে তার চমক থেমে নেই এখনই। এবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন নতুন একটি বিষয় যা নিয়ে শুরু হয়েছে বেশ আলোচনা। মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো বেতন না নেওয়ার বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে মন্ত্রীদের কম বেতন দেওয়ার পাশাপাশি ছোট আকারের মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
গতকাল মালয়েশিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি শপথ নেন। স্থানীয় সময় বিকেলে কাজের প্রথম দিনের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আগের চেয়ে মন্ত্রীদের বেতন কম দেওয়া এবং ছোট মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। ক্যাবিনেটের আকার অবশ্যই ছোট হবে। নতুন মন্ত্রীদের কম বেতনের বিষয়ে আমার সাথে একমত হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখনো আলোচনা ও প্রস্তুতির পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে গতকাল আনোয়ার জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেতন নেবেন না।
গত শনিবার মালয়েশিয়ার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জোটের কেউই ২২২ আসনের সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচনে আনোয়ার ইব্রাহিমের পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সর্বোচ্চ ৮২টি আসন জিতেছে। আর মহিউদ্দিন ইয়াসিনের দল পেরিকাতন ন্যাশনাল (পিএন) পেয়েছে ৭৩টি আসন।
বিদায়ী ক্ষমতাসীন জোট বারিসান ন্যাশনাল ৩০টি আসন জিতেছে। কিন্তু যখন তারা কোনো জোটকে সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কোনো পক্ষই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেনি। এটি রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে।
শেষ পর্যন্ত, রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসানের দায়িত্ব সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহের উপর বর্তায়। তিনি দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বসে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। এছাড়া আগের সরকারপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার ১০ম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি বর্তমানে দেশের সব থেকে জনপ্রিয় ব্যক্তিতে পরিনিত হয়েছেন। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তার নেয়া বেশ কিছু পদক্ষেপ ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে বেশ।