প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে কিছুই নয়। প্রধানমন্ত্রী হলে অনেক আগেই হতে পারতাম। কিন্তু আমি ওভাবে চাইনি।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতায় থাকবে জনগণের কল্যাণ সাধন। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলা। সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশ আজ অনেক এগিয়েছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। যা ২০২৬ সাল থেকে বাস্তবায়িত হবে। জাতির পিতার আদর্শে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে এই বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না।। অনেক দেশই আমাদের সঙ্গে হয়েছিল, অনেকেই পিছিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু পিছিয়ে যাইনি।
তিনি বলেন, ২১ বছর ধরে আমাদের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। অনেক ইতিহাস মুছে গিয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে শুরু করেছি। ১৫ আগস্ট থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই ভাষণ বাঁজিয়েছিল এবং তা মানুষকে শুনিয়েছিল। পৃথিবীর কোনো দেশে এতবার কোনো বক্তৃতা শোনা গেছে বলে আমার জানা নেই। আজ সেই ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বাধীনতার চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; যা বিশ্বে বাঙালি জাতির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই আমাদের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আমাদের অর্জন ধরে রাখুক। এর মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা এই বাংলাদেশের জন্য যে মহান আত্মত্যাগ করেছেন তা আমাদের ভুললে চলবে না। কারণ আপনি জানেন তার ভাষা আন্দোলন, তার ইতিহাস।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকার ক্ষমতায় আছি। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, এটি এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা উপলদ্ধি করতে পারবে না ২০ বছর আগে কেমন বাংলাদেশ ছিল। সেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র ছিল, বৈজ্ঞানিক কোনো কিছু ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা এই স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেব। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছি, বাস্তবায়ন করেছি। এবার আমরা গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা সবকিছু করছি।
অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মরণোত্তর ‘ডক্টর অব ল’-এর সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর এই ডিগ্রি হস্তান্তর করেন বিশেষ সমাবর্তনের সভাপতি প্রফেসর ড.আখতারুজ্জামান বঙ্গবন্ধু কন্যা ও সমাবর্তন বক্তা ড.