এস এম কামাল হোসেন হলেন বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি জানা গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নিলেন এস এম কামাল।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজশাহী জেলার পুঁঠিয়া উপজেলার শাহ মখদুম আশ্রয়ণ প্রকল্পের খোঁজ-খবর নিতে দ্বারে দ্বারে যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রোববার সকাল ৯টায় তিনি সেখানে যান।
এস এম কামাল আশারিয়ান প্রজেক্টে সবার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানতে চান তাদের কোনো সমস্যা আছে কি না। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপনার খোঁজখবর নিতে পাঠিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত সবাই বাড়ি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ৯০ বছর বয়সী জোয়াদ মিস্ত্রি বলেন, জীবনে কখনো ভাবিনি নিজের বাড়ি পাব। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে একটি বাড়ি দিয়েছেন, আমি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে তার জন্য দোয়া করি।
৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা সাহেরা বেগম বলেন, অনেক বছর আগে শেখ সাহেব আমাকে একটি বাড়ি দিয়েছিলেন, আজ তার মেয়েও অসহায় মানুষকে বাড়ি দিচ্ছেন, আমি শেখ সাহেব ও তার মেয়ে হাসিনার জন্য দোয়া করি।
এসময় এস এম কামাল হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তিনি সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে থাকেন। নিঃস্ব মানুষ।” কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের এদেশীয় দালাল মোস্তাক-জিয়াচক্র বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর তরুণ নেত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৯ ঘণ্টা কাজ করেছেন।
কারণ বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকায় আজ দরিদ্র মানুষ উন্নত জীবনযাপন করছে। যারা রাজধানীর এসি রুমে বসে শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন, ষড়যন্ত্র করেন, মিথ্যা বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, তারা একবার গ্রামে এসে আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করলে দেখবেন শেখ হাসিনা গ্রামকে কীভাবে রূপান্তরিত করেছেন। একটি শহর এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। তাই আমি তাদের বলব, আপনারা মিথ্যা বলা বন্ধ করুন, না হলে মানুষ আপনাদের মিথ্যার জবাব দেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মনছুর, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিকা ফারিয়া জামান ওড়না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন জনেনত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি অত্যন্ত মানবদরদী একজন মানুষ। তাকে মানবতার মা বলা হয়। বাংলার মানুষের দুঃখ-কষ্টে তিনি এক মুহূর্ত বসে থাকতে পারেন না। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যেয়ে সমস্যার সমাধান করেন এই মহান নেত্রী।