পদ্মা সেতু বাংলার মানুষের শত বছরের স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবে পূরণ করেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের দ্বারা তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বের মানুষকে ঠিকই দেখিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি জানা গেছে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল প্রজেক্ট বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান লি ঝাংসু।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের কথা উল্লেখ করে লি ঝাংসু বলেন, বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ অবকাঠামোর সফল নির্মাণকাজ সম্পন্ন করায় চীন খুশি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি) স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান লি ঝাংসু। সেতুটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার চীনে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার তার কার্যালয় থেকে লি ঝাংসুর আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নেন। শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের কথা উল্লেখ করে লি ঝাংসু বলেন, বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ অবকাঠামোর সফল নির্মাণকাজ সম্পন্ন করায় চীন খুশি।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, সেতুটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
এ সময় শিরীন শারমিন চৌধুরী ও লি ঝাংসু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সহযোগিতা, পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ইস্যু, রোহিঙ্গা ইস্যু, নারী উন্নয়ন ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, সংসদীয় জোট গ্রুপগুলোর মতবিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।স্পিকার বলেন, “বাংলাদেশ পার্লামেন্ট এবং চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ও সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদার করতে পারে।”
স্পিকার আরও মতামত দেন যে সংসদীয় জোট গ্রুপ গঠন করে চীনের সাথে পারস্পরিক সফর বিনিময় বাড়ানো হলে উভয় দেশের সংসদ সদস্যরা উপকৃত হবেন। ঝাংসু শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নারী উন্নয়ন ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এ সময় তিনি উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক আদান-প্রদান এবং পেশাদার জনশক্তির মাধ্যমে একাডেমিক ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে চীনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ঝাতির জনক হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার সীমাহীন আত্মত্যাগের কথা বাংলার মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারবেনা। জাতির পিতার স্বপ্নগুলো একে একে পূরণ করছে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখশাসিনা।