এম এ মান্নান ছিলেন একজন সরকারী কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন নেতা। রাজননিতিবীদ হিসেবে তিনি সফলতা অর্জন করেছেন জীবনে। বর্তমানে এম এ মান্নান গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী। ডায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তার এক বক্তব্য বলেন পদ্মা সেতু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বর্গে যাবেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণ হলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বর্গে যাবেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, শুধু একটি কাজের জন্য যদি স্বর্গ দেওয়া হয়, তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাহসের সঙ্গে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য স্বর্গ দেওয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন তাতে সেতুর নাম দিতে হবে।
রোববার (৫ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকার উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ফেইথ ইন অ্যাকশন’ এবং নাগরিক সংগঠন ‘সুন্দরবন অ্যান্ড কোস্টাল প্রোটেকশন মুভমেন্ট’।
সুন্দরবন ও উপকূল রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। এতে অংশ নেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার, নৌ ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য এবং পরিবেশ উন্নয়ন কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। সেমিনার
সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বাগেরহাট তাদের ভৌগলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্র্য, দীর্ঘমেয়াদী লবণাক্ততা, বিপন্ন কৃষি ইত্যাদি কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল। তাই ওই এলাকাকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।
সেমিনারে উত্থাপিত সুপারিশে আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে উপকূলে স্থায়ী ও শক্তিশালী বাঁধ পুনর্নির্মাণ করতে হবে। জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করতে হবে। উপকূলীয় মানুষের পানীয় জলের টেকসই ও টেকসই সমাধান। উপকূলে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প আকারে ‘একটি বাড়ি একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। নদী ভাঙ্গন ও ভূমি ভাঙ্গন রোধে উপকূল বরাবর বৃহৎ পরিসরে বৃক্ষ রোপণ করে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করতে হবে। সুন্দরবন ও আশপাশের এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। উপকূলীয় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু তৈরীতে বাংলাদেশের মানুষের যে কতোবড় উপকার হয়েছে সেইটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়াতে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দেশের মর্যাদাও। দেশের সাধারণ মানুষের ইচ্ছে ভবিষ্যতে যেন এমন আরো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।