যুক্তরাষ্ট্র আগেই বলেছে, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। একই সঙ্গে নির্বাচনের দিন হাজার হাজার রাজনৈতিক বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার ও অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত কারচুপির নির্বাচন যে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীকে কারারুদ্ধ করেছে, তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কি ব্যবস্থা নেবে? আপনি আগেই আপনার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।
এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, নির্বাচনের দিনে হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেপ্তার এবং অনিয়মের খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সাথে মতামত শেয়ার করি যে এই নির্বাচনগুলি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ। আমরা নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের আগে মাসগুলোতে স/হিংসতার নিন্দা জানাই। স/হিংসতার বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ তদন্ত; জড়িতদের জবাবদিহি করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করি। একই সঙ্গে রাজনৈতিক স/হিংসতা পরিহার করার জন্য সব দলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
এরপর ম্যাথিউ মিলারকে আরেকটি প্রশ্ন করা হয়- আপনি যখন বলছেন বাংলাদেশে এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয়নি, তখন যুক্তরাষ্ট্র কি টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি দেবে না? ম্যাথিউ মিলার জবাবে ইংরেজিতে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেন। তা হলো- ‘নো, নো’।