আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেও নির্বাচন কর্মকর্তারা বিতর্কিত আচরণ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে ইসি। এই সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, প্রসিইসি বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ যারা ভোট চাচ্ছেন, তারা ভোট চাইতে পারেন কিনা তা নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করবো না; বিষয়টি কেউ নজরে আনেননি। তফসিল ঘোষণার পর দেখব কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে কি না। শুধু তফসিল ঘোষণার পর নয় আগেও ভোটের পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে পারে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক সংলাপ ইতিবাচক হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ গত সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌরসভার নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ। আগামী নির্বাচনের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য মির্জা আজমকে মন্ত্রী হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হওয়া কাম্য নয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষ/ণগণনা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর আগে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আচরণবিধি সম্পর্কে সতর্ক করেন সিইসি। ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সম্প্রতি জামালপুর জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিসভায় চিঠি দিয়েছে ইসি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ ইমরান আহমেদকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।