আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো বেশ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এদিকে আ.লীগের নেতারা দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, এখনো সেটা হচ্ছে। তবে চক্রান্তকারীদের সেই পরিকল্পনা সফল হবে না। জনগণের ভোটে আবার প্রধানমন্ত্রী সরকারের প্রধান হবেন, এমনটি জানিয়েছেন আ.লীগ নেতারা। এবার প্রধানমন্ত্রী বারবার ষড়যন্ত্রের কথা বলেন, মির্জা ফখরুলের এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রে”/নেড হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান টার্গেট ছিলেন- উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, এখন নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা আবারো বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ বিএনপির নেতারা, মির্জা ফখরুল যখন বলেন শেখ হাসিনা এত চক্রান্তের কথা কেন বলেন, ষড়যন্ত্রের কথা কেন বলেন? আগস্ট মাস এলে যারা ষড়য”ন্ত্রকারী তারা বিচলিত হয়ে পড়ে। কারণ সামনে ষড়যন্ত্রের ঝাঁপি খুলে যায়। ২১ আগস্ট আসলে সেই সময় ষড়য”ন্ত্রকারীদের মুখচ্ছবি ভেসে ওঠে। তাকে (প্রধানমন্ত্রী) হ”/ত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ২০ বার, করা হয়েছে ষড়য”ন্ত্র। তাহলে তিনি কি ষড়য’ন্ত্রের কথা বলবেন না?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, “২১শে আগস্ট ব্যর্থ হয়েছে। এখনো ষড়য’ন্ত্র আছে, আমরা জানি। কারণ আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু এত জনপ্রিয় ছিলেন যে তাকে নির্বাচনে হারানো সম্ভব ছিল না। সেজন্য তার প্রাননাশ করা হয়েছে। হ”/ত্যাকাণ্ড কেন? যদি নির্বাচন হয়? শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয়, সেজন্য তাকে হ”/ত্যা (হত্যার চেষ্টা)।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “২১শে আগস্টের প্রধান টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা এখন এত জনপ্রিয়, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিলে তিনি আবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। তাই তাকে হ/”ত্যা করা ছাড়া তাকে অপসারণের বিকল্প নেই। সেজন্য আজ ষড়য”ন্ত্র হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, আগামী বছরের শেষদিকে বা পরের বছরের প্রথমদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হব। আর এই নির্বাচনে বিএনপি শর্ত মোতাবেক অংশগ্রহণ করবে, অন্যথায় নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কাউকে পায়ে ধরে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর বিষয়টি সংবিধানে নেই।