ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রায় সময় দেশের চলমান পরিস্তিতি নিয়ে নানা ধরনের কথা তুলে ধরছেন। এমনকি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের শেষ নেই। এরই সূত্র ধরে সরকারের নানা অনিয়মের কার্মকান্ড তুলে ধরে এই বিষয়ে নানা প্রমানও তুলে ধরছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশনের আইন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের সমালোচনা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আগের দিন পর্যন্ত আইনমন্ত্রী বলেছেন, সময়ের অভাবে এটা করা যাচ্ছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেখালেন খেলা, বানরের নাচ। পরদিন মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া পাস হয়। জনগণকে এখনো জানানো হয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার নামে সরকার যা করতে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আগামী নির্বাচনও প্রহসন হবে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা জানান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সার্চ কমিটিতে বিচারকদের রাখতে বলা হয়েছে। যারা নিজেরাই ফাঁকিবাজ। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার ডোপ টেস্টের ব্যাপারে খুবই উৎসাহী। কিন্তু কত মানুষ ডো/প টেস্ট করে। এসবের মধ্যে সরকারের ভুল নীতি। সরকার জনগণের প্রতিনিধি নয়। সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। সরকার ডাকাতির সরকার।
আমলাতন্ত্রের আধিপত্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এসব জায়গায় আগে যারা কাজ করেননি তাদের ওপর মা/দ/কা/স/ক্তির দায়িত্ব দেওয়া হয়। সাইকিয়াট্রি, সাইকোলজি বা মেডিসিনের কোন জ্ঞান নেই। উনাদের একমাত্র কোয়ালিফিকেশন আমলা।। একইভাবে নির্বাচন কমিশনেও আমলাতন্ত্রের প্রাধান্য রয়েছে। আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে ডিসিরা ২৬৬টা দাবি করেছেন, তাদের সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া উচিত। জনগণের মতামতের প্রয়োজন নেই, ক্ষমতা দিতে হবে। মা/দ/কে/র ব্যাপারে জিরো টলারেন্স স্রেফ একটি পাবলিসিটি স্টান্ট বলে মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সরকারের ড্রা/গ/স নিয়ে জিরো টলারেন্স শুধু প্রচারের জন্য। আপনি যা পারেন করতে থাকুন। আমি রাতের ভোট লু/ট করেছি, তোমরা মা/দ/ক লু/ট কর। তিনি আরো বলেন, মা/দ/কে/র বিস্তারের জন্য সরকার দায়ী। তার চিকিৎসা না করার জন্য সরকারও দায়ী। আজকের অনৈতিক বিশৃঙ্খলার জন্য সরকার দায়ী। আমলাদের হাতে দেশ চলতে পারে না। জনপ্রতিনিধিদের হাতেই দেশ চলবে। মা/দ/ক নির্মূলের দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের নিতে হবে। তিনি সি/গা/রে/ট নিষিদ্ধ করে মা/দ/ক নি/র্মূ/ল অভিযান চালানোর আহ্বান জানান।
কিছু দিন ধরে নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা আলোচনা-সামলোচনা চলছে। এমনকি এই নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বেশ কিছু রাজনৈতিক দল আইন করারও দাবি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে মন্ত্রীসভা আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন। এবং পরবর্তী নির্বাচন কমিশন এই আইনের মধ্যে দিয়ে গঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।