সমপ্রতি বিএনপির আন্দোলনে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আর এই বিষয়টি নিয়ে এখন চলছে বেশ আলোচনা সমালোচনা।ভোলায় বিএনপির আন্দোলন সমাবেশে পুলিশ গুলি করে নিহত করেছে একজনকে। এবার এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিবন্ধীরা দেশের সমস্যা নয়। প্রধান প্রতিবন্ধী রাষ্ট্র। আমাদের রাষ্ট্র অক্ষম হয়ে গেছে। সরকারপ্রধান বলেছেন, প্রতিবাদ করবেন, প্রতিবাদ শেষে অফিসে গেলে চা খাবেন। সেখানে বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালায়। এটা কখনোই একজন সুস্থ মানুষের দ্বারা করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্র আমাকে প্রতিবন্ধী রাখতে চায়। আমি আমার কণ্ঠ বন্ধ রাখতে চাই।
বুধবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এইচআরএ ফাউন্ডেশন, ইউকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতিবন্ধীতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য এইচআরএ ফাউন্ডেশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ডু সামথিং ফাউন্ডেশন এবং সিআরপি-এর সহযোগিতায় ‘ডিসেবলড লাইভস ম্যাটার’ (ডিএলএম) এর ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৩৯ জন স্বেচ্ছাসেবক ও সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেছেন, রাজনীতিবিদরা যদি নিজের ও পরিবারের স্বার্থে সবকিছু করেন তা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি। সে তার সাথে নেই।
লেখক ফরহাদ মজহার বলেন, বাংলাদেশে অটিস্টিক শিশুদের প্রধান কারণ সয়াবিন তেল ও খাবার। এখানে খাদ্য উৎপাদনে সার ও কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করলে নিশ্চিতভাবে অনেক রোগ-ব্যাধি কমে আসবে। তিনি বলেন, শিক্ষিতরা বেকার থাকবে কেন? বেকার থাকাটাও এক ধরনের অক্ষমতা। কাজের অভাবে আত্মহত্যার হার বেড়েছে। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাস্কর শংকর ধর, লন্ডনবাসী শেখ মফিজুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ভোলার ঘটনায় এখনো তোলপাড় চলছে সেখানে। এই ঘটনায় বিএনপি এক দিনের হরতাল ডেকেছে সেখানে। আর সেই হরতালেও বেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।