ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশ ও জাতীর উন্নয়নে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, একদিকে নিজে যেমন কাজ করে যাচ্ছেন অপরদিকে নেতাকর্মীদেরও একই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যেন কাউকে কষ্ট করতে না হয়, এ জন্য প্রত্যক নেতাকর্মীকে মানুষে জন্য কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। আর সেই সুবাদে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকেও এই আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরকে খুব ভালোবাসেন। তিনি যখন আমাকে প্রথম মন্ত্রিত্ব দেন তখন আমাকে বললেন-‘মান্নান সাহেব, আপনি হাওরের ছেলে। আপনি নিম্ন আয়ের পরিবারের মানুষ। কষ্ট করে মানুষ হয়েছেন আমি জানি। আমি আপনাকে সাহায্য দিচ্ছি-আপনি হাওরের জন্য কাজ করুন। গরিব মানুষের জন্য কাজ করুন। গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করুন।’
রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনের ২য় তলার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার রাতে অষ্টগ্রাম ইটনা মিঠামইন উপজেলা উন্নয়ন ও কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে রাষ্ট্রপতির ৭৯তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমিতির সভাপতি হাজী মো. সোলায়মানের সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বৃহত্তম ময়মনসিংহ সমিতির মহাসচিব হারুন-অর-রশীদ, রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিন্সিপাল আব্দুল হক ও রাষ্ট্রপতির ভাগ্নে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি চাই আমার বাপ-চাচা যারা গ্রামে বড় হয়েছে পানির স্বাদ খেয়ে, কচু, খেঁচো খেয়ে। তাদের জন্য আমি কাজ করতে চাই। আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই কাজগুলো করতে পারছি।
তিনি বলেন, আমি যখন (সম্প্রতি) রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি, তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনি দুই জেলার (সুনামগঞ্জ-নেত্রকোণা) মধ্যে সংযোগ করে দিচ্ছেন এখানে আমাদের (কিশোরগঞ্জ) এলাকাকেও লাগিয়ে দেন। তাহলে আমরা আপনাদের এলাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করতে পারব।’
এম এ মান্নান বলেন, হাওর আমার জন্মভূমি। হাওর আমার মা, হাওর আমার বাবা। কয়েকদিন আগে আমরা একনেকে বিশাল প্রকল্প পাস করলাম। নেত্রকোনার সঙ্গে সুনামগঞ্জের সারা বছরের সংযোগ হবে। এটি আগে চিন্তাও করা যায়নি। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।
তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে যখন প্রধানমন্ত্রী ও আমার উপস্থিতিতে এই সড়ক নিয়ে আলোচনা হয় তখন এলজিইডির ইঞ্জিনিয়াররা হাত তুলে বললেন, ‘এটা অসম্ভব’। এই দিকে রাস্তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এটাকে ডুবা রাস্তা করতে হবে। আর না হয় যেভাবে আছে সেভাবেই ট্রলার দিয়ে চলাচল করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাহস দিলেন। তিনি বললেন, ‘এটা তো পদ্মা সেতু নয়। পদ্মায় যদি সেতু বানানো যায়, মেঘনায় যদি সেতু বানানো যায়, তাহলে এখানে কেন পারা যাবে না। এটাতো জমি-এখানে বর্ষা হলে পানি হয়, শীতকালে শুকিয়ে যায়। আমরা এখানে ফ্লাইওভার (উড়াল সেতু) করব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো এরকম নাই যে, পাশাপাশি দুটো জেলা, কিন্তু কোনো সংযোগ নাই। অন্য জেলার সংযোগ দিয়ে আমাদের চলতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এজন্য সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস করে দিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বদৌলতে দিন দিন উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই ধারাবাহিকতা যেন আগামীতেও অব্যহত থাকে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।