গতকাল বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালিত হয়েছে সারা দেশে। এমনকি এই দিনটিকে ঘিরেরে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে অ্যামীলীগ দল। বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি দল প্রসঙ্গে নানা ধরনের কথা বার্তা বলেছেন অনেক নেতাকর্মী। আওয়ামীলীগ দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি নেতা কে। এছাড়াও তাদের উদ্দেশ্যে নানা ধরনের সমালোচনা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বেশ কিছু কথা জানালেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ভয়ংকর দু:স্বপ্নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলছেন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে ব্র্যান্ড! একটা ইতিহাস। ইতিহাস ইতিবাচক নেতিবাচক সব কিছু নিয়েই ইতিহাস রচিত হয়। ইতিহাসে যেমন সিরাজ উদ্দৌলার কথা লেখা আছে, আবার মীর জাফরের কথাও লেখা আছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ইতিহাসে শেখ হাসিনার স্থান কী সিরাজউদ্দৌলার লাইনে হবে, নাকি মীর জাফরের লাইনে হবে সেটা যদি আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা পরিষ্কার করে বলে যেতেন তাহলে ভালো হতো। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। “গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন এবং জনআকাঙ্ক্ষা” শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১‘ কেন্দ্রীয় কমিটি।
রিজভী বলেন, দেশে একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হবে এটাই হচ্ছে জনআকাংখা। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দিবে। কারণ জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। কিন্তু এটা তো সরকার ভুলে গেছে। তারা তো আবারো কে এম নূরুল হুদার মতো কাউকে নির্বাচন কমিশনার বানাবে। তা ছাড়া কাউকে নির্বাচন কমিশন বানাবেনা। আজকে ডা/কা/তির নির্বাচন চান প্রধানমন্ত্রী। সেই নির্বাচন বৈধতা দান করেন তার মন্ত্রী এমপি আর সাঙ্গপাঙ্গরা। সুতরাং নিরপেক্ষ নির্বাচন কেমনে হবে? রিজভী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা পা/চা/র হয়ে গেলো সেটা নিয়ে তো কথা বলেনা। সেই টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া, কানাডার বেগম পল্লী কেনা হচ্ছে। দুবাইয়ে, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ্যে বিলাসবহুল বাংলো কেনা হচ্ছে। কারণ এ দেশে যদি কোনো কিছু ঘটে তাহলে তারা আরব্য রজনীর আলিফ লায়লার মতো সুখে শান্তিতে বিদেশে বসবাস করতে পারবেন। এটাই হচ্ছে তাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, দেশে একদিকে শেখ হাসিনার জন্মদিনের জৌ/লু/স চলছে। অন্যদিকে দেশে নারীর ক্ষমতায়ন হ্রা/স পেয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নাকি ব্র্যান্ড? তো প্রধানমন্ত্রী কিসের ব্র্যান্ড? তিনি তো টাকা পা/চা/র করার ব্র্যান্ড, সাহেদ-সাবরিনার উত্থান আর গু/ম খু/নে/র ব্র্যান্ড? তিনি তো গণতন্ত্র হ/ত্যা/কা/রী ব্র্যান্ড। দিনের ভোট নিশিরাতে করার ব্র্যান্ড। এটাতো ওবায়দুল কাদেরের বলা উচিত ছিলো। তারা সেটা বলেননি। প্রধানমন্ত্রী তো দেশকে দু:স্বপ্নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আরো থাকলে দেশের মানুষের স্বপ্ন দু:স্বপ্নের দিকে ধাবিত হবে। আর তারা বলছেন স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। রিজভী বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে গ্রহণযোগ্য সরকার থাকতে হবে। সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে যে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন হবে সেই কমিশনের অধীনে দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন হবে।
কিছু দিন আগে শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছে। এরই লক্ষ্যে দেশ জুড়ে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। এবং বিএনপি দল সহ দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলো সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কিছু শর্ত জানিয়েছে বিএনপি দল।