গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করেছিল। প্রধানমন্ত্রী তার বাবার নামে শপথ করে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন, জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নূর এসব কথা বলেন বলে গণ অধিকারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এতে বলা হয়, তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলগুলোর ডাকা ১১ দফা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পুরাতন পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক নূর বলেন, ”অনেকে ইনিয়েবিনিয়ে বলছেন, বিএনপিসহ বিরোধীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাতীয় সংসদে থেকেও প্রতিবাদ জানাতে পারত। ২০১৮ সালে গণভবনে বিরোধী দলের নেতাদের ডেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি জাতির পিতার কন্যা, আমার ওপর আস্থা রাখেন, আমি একটা ভালো নির্বাচন দেব।’ বিএনপি মহাসচিবকে নেতাকর্মীদের মামলার তালিকা দিতে বলেছিলেন।
তারপর কি হয়েছিল আপনারা সবাই জানেন।২০১৮ সালে দলীয় সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রীর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আজ এই সংকট সৃষ্টি হতো না। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী তার বাবার নামে শপথ করে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন, জনগণকে প্রতারণা করেছেন। এই নির্বাচনে গেলে ২০১৮ সালে যা হয়েছে তা-ই হতো।”
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন নিয়ে অনেকেই বলতে পারেন, আন্দোলন যে পর্যায়ের প্রয়োজন সেভাবে হচ্ছে না। কিন্তু আমরা এখনও চলছি. আমাদের অভিনয় করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমরা তো এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য, ঝুটা খাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না।
আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। ত্যাগ স্বীকার করে, হামলা-মামলা, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আন্দোলন করেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেলখানা থেকে আমাদেরকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছেন। যারা আন্দোলনে আছে সবাইকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।’
নুর আরো বলেন, ‘ইনু, মেনন সবাই নৌকায় উঠে এমপি হতে চায়। নৌকার তলা ফুটা হয়ে গেছে। ফুটা নৌকায় গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে না। জনগণের অর্থ খরচ করে ৭ জানুয়ারি কোনো প্রহসনের নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। নির্বাচনও প্রতিহত করা হবে, যারা নির্বাচনে যাবে তাদেরও প্রতিহত করা হবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ড. রাশেদ খান
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর কাউন্সিলর শাকিল উজ্জামান, শহীদুল ইসলাম ফাহিম, আবদুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহযোগী মিডিয়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মীর দিলরুবা সুলতানা প্রমুখ। মিছিল , যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।