সরকার নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘ স্থায়ী করতে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। যার ফলে দেশের জনগন তাদের ভোটাধীকার হারিয়েছে। সরকার দেশে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লু/টপাট করার কারনে আজ দেশের অথনৈতিক অবস্থা সংকটের মুখে পড়েছে বলে দাবি বিএনপির। এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাধ্য করা হবে বলে বিএনপি মহাসচিব মন্তব্য করেন। নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নেওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রীর চা খেতে কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসলে চা খাওয়াব।’ তার আগে বলে দেন নিরেপক্ষ সরকার সিস্টেম এনে দিচ্ছি। তাহলে চা খাওয়ার অসুবিধা কী? সমস্যার সমাধান হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরেপক্ষ সরকার।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা: দুর্নীতি ও লুটপাটের পরিণতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু জ্বালানি কোথা থেকে আসবে তার ব্যবস্থা করেনি সরকার। সরকার জ্বালানি নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করেনি। পরিকল্পনার অভাবে দেশে আজ বিদ্যুৎ সংকট।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখনো দুইবেলা খাবার পায় না, দেশের মানুষ এখনো ৪২ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। সেই দেশকে সিঙ্গাপুর বানাচ্ছেন। আপনাদের নিরাপত্তার জন্য আবার কানাডায় বেগম পাড়া করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে সেকেন্ড হোম করছেন। এইটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গ্রামে লোডশেডিং বেশি হয়। সেখানে ৬-৭ ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়। শহর বাসীকে খুশি রাখতে শহরে লোডশেডিং কম হচ্ছে। কারণ শহরের মানুষ একটু বেশিই হৈচৈ করে, আন্দোলন করে। যে কারণে শহরে লোডশেডিং কম। শহরের মানুষকে খুশি রাখা, গ্রামে যারা কৃষিকাজ করে ফসল ফলায় তাদের বেশি লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ফলে কী হবে? ফসল উৎপাদন কমে যাবে। ধান উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে চলে যাবে। এভাবেই পতন অনিবার্য হবে।
মেগা প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য মেগা দুর্নীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেগা প্রজেক্টে মেগা লুটপাটের কারণে আজ বাংলাদেশের এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সাথে কথা বললে মনে হবে তারা একটা স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে এবং উন্নয়নের রোল মডেল। এখন রেমিট্যান্স কমে আসছে। চোখে সর্ষে ফুল দেখবেনম দেখা শুরু করেছেন। যার জন্য এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ে চা খেতে আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, সরকার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব গ্রহন করবেন।