প্রধানমন্ত্রী উচ্চ শিক্ষিত একজন মানুষ। তার কাছে শিক্ষার মূল্য অনেক। তাই তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী চান যেন দেশের প্রত্যেকটি মানুষ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয় এবং আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন তৈরি হয়াও যেন তোমরা ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারো।
আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি মাথা উঁচু করে মর্যাদা নিয়ে বিশ্বে হাঁটব। এ দেশ আমাদের দেশ; এ দেশকে গড়ে তুলবো উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। আপনি ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এটি আপনার প্রতিভাকে সব ক্ষেত্রে বিকশিত করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ পিছিয়ে না থাকুক, এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
রোববার (২৬ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণ-২০২২ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ১৫ সেরা মেধাবীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গণভবন কার্যত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের প্রান্তের সাথে সংযুক্ত ছিল। শিক্ষামন্ত্রী মো. দীপু মনির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সচিব আবু বকর সিদ্দিক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক স্বৈরশাসকরা আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অস্ত্র, টাকা, মাদকে পরিণত করে ব্যাটালিয়নে পরিণত করেছে। যার মাধ্যমে তারা ক্ষমতা উন্মোচনের চেষ্টা করে। তারা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। যার জন্য বছরের পর বছর সেশন জ্যাম করা হয়। আমাদের সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ খুবই সীমিত। ‘
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পর আমাদের চেষ্টা ছিল সব ক্যাম্পাসে শেখার পরিবেশ তৈরি করা। @আমরা আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গ্রেডিং সিস্টেম আনা বা শিক্ষার আধুনিকায়নে পদক্ষেপ নিই। আমি গবেষণায়ও মনোযোগ দিই। ‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি শিশুদের বলব, আমাদের আগামী প্রজন্মকে বলবো আমরা বিজয়ী জাতি, বিশ্বে মাথা উঁচু করে হাঁটবো। মর্যাদার সাথে হাঁটবো। এই দেশ আমাদের দেশ, এ দেশকে আমরা গড়ে তুলব উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার সুযোগ তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। আমরা আমাদের বিজ্ঞান চর্চা ও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। তারা আজ আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তা করতে সক্ষম হবে। মেধা অন্বেষণের মাধ্যমে অনেক সুপ্ত জ্ঞান বেরিয়ে আসবে, যা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে কাজে লাগবে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সোনার ছেলে মেয়েরা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত থাকো। সর্বক্ষেত্রে আপনি আপনার মেধা বিকাশ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, যাতে বাংলাদেশ পিছিয়ে না থাকে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতে, আমাদের শিশুরা আরও ভালভাবে উদ্ভাবনে সজ্জিত হবে, বিশ্বে নিজের দুই পায়ে দাঁড়াতে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীরাই হলো আগামীদিনের ভবিষ্যত। তারাই পারে দেশের হাল ধরে দেশকে শক্ত হাতে পরিচালনা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের অবদানের কোনো তুলনা হয়না। দেশকে কিভাবে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে হয় তার জ্বলন্ত প্রমাণ হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।