মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ লোক নিখোঁজ হয় এবং সে দেশে হাজার হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে মারা যায়। কিন্তু সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা যায়, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হয় না। তাই দেশটির প্রশাসনের থেকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটা সবক্ষেত্রে সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আজ (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতির আসন্ন সফর উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে উত্তর দেবো। একা হুট করে উত্তর দেওয়া ঠিক হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়। আর এরা যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে দেশে নাকি ৬০০ লোক নিখোঁজ হয়েছে। ছয় লাখ আর ছয়শ! আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর সেখানে হাজারখানেক লোককে পুলিশ গু’/লি করে মে’রে ফেলে। আর আমাদের এখানে কালেভদ্রে একজন-দুজন মারা যায়। কিন্তু আমেরিকায় যে এত লোক মা’রা যায়, এ নিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম-টাধ্যম খুব… কারণ তারা মনে করে, লাইন অব ডিউটিতে এই কাজটা করেছে।
ড. মোমেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্ত সঠিক নয়, এর ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে। আমরা আশা করি, ওই দেশে পরিপক্ব লোকজন আছেন, জ্ঞানী লোক আছেন, তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদসহ ৭ জন কর্মরত ও সাবেক কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাটালিয়নের এই কর্মকর্তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয় এরকম আটটি দেশের কর্মকর্তা ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাংলাদেশের ওপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবে কাম্য নয় বলে জানিয়েছে এই সকল কর্মকর্তারা।