বর্তমান সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি আওয়ামীলীগ দলের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন অংশ গ্রহন করছেন। এবং তিনি তার প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সময় তিনি জনগনের উদ্দেশ্যে প্রদান করছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি। এমনকি তিনি তার পূর্বের কর্মকান্ড গুলোও তুলে ধরছেন জনগনের মাঝে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, “আমার সাথে জনগণের সম্পর্ক পুরনো। আমি সিটি করপোরেশনে দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ কাজ করছি। আপনারা নিজেরাও দেখেছেন। আমি নগরবাসীর কাছে আহ্বান জানাবো আমি কোনদিনও শহরে স/ন্ত্রা/সী করিনি, আমি চাঁ/দা/বা/জি করিনি, মানুষের ক্ষতি করিনি। আমি যা-কিছু করেছি মানুষের কল্যাণে করেছি, নগরবাসীর কল্যাণে করেছি। আমার আহ্বান থাকবে আমি ইমানের সাথে সিটি করপোরেশন চালানোর চেষ্টা করেছি, মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি চাই মানুষ আমাকে আগামী পাঁচ বছর সেবা করার সুযোগ দিক। আমি যেন তাদের খেদমত করতে পারি। বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের একথা বলেন আইভী।
তিনি বলেন, আমার সকল পরিকল্পনা চলমান আছে। মানুষের যা যা চাহিদা আমার সাধ্যে অর্থাৎ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাধ্যের মধ্যে রেখে সে কাজগুলো করার চেষ্টা করেছি। আপনারা দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনেক টাকা দিয়েছে, বিভিন্ন দাতা সংস্থাও আমাকে টাকা দিয়েছে, সে টাকা দিয়ে আমরা প্রচুর কাজ করেছি। আমি চাই এটা অব্যাহত থাকুক। প্রধানমন্ত্রী কদমরসুল ব্রিজের যে টেন্ডার দিয়েছিলেন সেটা প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। মানুষের চাহিদা মত কাজ করব। তিনি আরও বলেন, এ এলাকায় মাঠ নেই, স্কুলও নেই। এখানে মাঠের জায়গাও নেই। তারপরও আমি বলেছি জায়গা একোয়ার করে মাঠ করে দেব। এইরকম যে চাহিদাগুলো আছে সেগুলো সবসময় পূরণ করেছি। নতুন নতুন যে দাবিগুলো সামনে আসছে সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করব।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার। অবশ্যে তিনি সত্বন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। তার মার্কা হাতি। আইভী-তৈমুর তারা দুজনেই তাদের জয় নিয়ে খুবই আশাবাদী। এবং নিজেরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন জয়ের লক্ষ্যে।