হাসিনা বনাম হারুন
রাজনীতিকে যতটা জটিল মনে করা হয় ততটা জটিল নয়। ডিবি হারুনের সঙ্গে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের আড়াই ঘণ্টা হয়েছে৷ এর মানে হলো হাসিনা উৎখাতে হারুনের ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা আছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে যদি ওই সময়ের কোনো হারুনকে নিয়ে লেখতাম তাহলে যেমন অবিশ্বাস হতো, এখন হারুনকে নিয়ে বলাতেও তাই হবে৷ তবে সত্য সব সময় ঘটনার পর ঘটে।
হারুনের নড়াচড়া কেমন তা রাষ্ট্রপতির এপিএস ও এডিসি হারুনের ঘটনায় স্পষ্ট। এঘটনায় ডিবির হারুনের থট প্রসেসটা খেয়াল করলে বুলেটের সামনে হাসিনাকে দেখা যায়।
খেয়াল করুন, ছাত্রলীগের তিন নেতাকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগসহ সবাই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ও ধামাচাপা দেওয়ার যোগ্য করে তুলছে৷ আক্রান্তরা মামলা করেনি৷ পুলিশের তদন্ত ও ব্যবস্থার ওপর চাপিয়ে এডিসি হারুনকে সাময়িক বহিষ্কারে নিকাশ হচ্ছিল ঘটনা।
এখানে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত ঘটনার জেরও এড়াচ্ছিল সবাই। চুপ্পুকে দিয়েইতো এবার হাসিনা পার হবে। তাই তার এপিএসকে ঘটনায় মুখ্য চরিত্র করছিল না কেউ।
কিন্তু ডিবির হারুনই রাষ্ট্রপতিকে টেনে সামনে আনছে। তার কথার সঙ্গে মিল রেখে এডিসি সানজিদাকে দিয়ে চ্যানেল আইতে একটা চোথা খাওয়ানো হইছে। সেটি আবার হারুন সিন্ডিকেটের সাংবাদিকরা অনেক জায়গায় ছাপছে।
এই পুরো কাজে হারুনের খেলাটা হলো ঘটনাকে পুলিশ বনাম এডমিন ক্যাডারে পরিণত করা।
হাসিনার হুকুমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএমপি কমিশনার ঘটনাকে মিনিমাইজ করে ফেলেছিলেন। সেখানে হারুন ঘটনাকে একা টেনে নিয়ে গেছেন। মানে হাসিনার বাইরেও ক্ষমতা ফাংশন করছে।
মজার কিন্তু!