হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদে গিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে তিনি হেসে আমাকে বলেছিলেন- ফেসবুকে তুমি তো এমপি হয়ে গেছ।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের ‘প্রোডাক্ট’ হচ্ছে ফেসবুক। ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে তিনি ফেসবুকে সাত কোটি ফলোয়ার (ফলোয়ার) তৈরি করতে পারতেন না। স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্য বলেন, আপনারা বলতে পারেন আমি ফেসবুকের এমপি, কিন্তু যিনি আমাকে ফসল হিসেবে বড় করেছেন- তিনিই জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ফসল হিসেবে বড় করেছেন।
এই বক্তব্যকে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে করে স্বাগত জানিয়েছেন। অধিবেশন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এ সময় হাসতে দেখা যায়।
সায়েদুল হক মজা করে বলেন, ভালো না মন্দ তা তিনি জানেন না। তার আসন প্রধানমন্ত্রীর সামনে (পেছনের সারিতে প্রধানমন্ত্রীর আসনের বিপরীতে)। তিনি সবকিছু দেখেন।বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের আসন পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর চোখের সামনে। নড়াচড়া করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংসদের বাইরে নড়তে পারব না, ভেতরেও পারছি না।
কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর (সরকারি দলের সদস্যদের) পেছনে বসে আছেন, তারাই সকল ক্ষমতার উৎস, তাদের হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় চোখে দেখতে পারেন না। তবে আমার বিশ্বাস- প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকে যেভাবে তাকাবেন, যারা পেছনে আছেন, তাদের একটু যাচাই করে দেখেন…।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হাসতে দেখা যায়।
সংসদে নিজের অবস্থান তুলে ধরে সায়েদুল হক বলেন, তিনি সরকারের বিরোধিতা করবেন। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সবাই এক ও অভিন্ন।
সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করে সায়েদুল হক বলেন, হৃদয়ে দেশপ্রেম থাকলে টাকা সমস্যা হয় না, প্রধানমন্ত্রী তা প্রমাণ করেছেন। এত সাফল্যের মধ্যেও কিছু সমস্যা আছে। দ্রব্যমূল্য খুবই খারাপ। ব্যাংকগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। মানি লন্ডারিং কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। এসব বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।