প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতে ৪ দিনের সফরে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করেছেন এবং এই বৈঠকের পর ৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা যায়। প্রধানমন্ত্রীর সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শেষ না হতেই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
আজ বুধবার কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরুর দিনেই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে ‘যুক্ত’ করে ‘অখণ্ড’ ভারত গড়ে তুলতে হবে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে খোচা দিয়ে হিমন্ত বলেছেন, ভারত অটুটই রয়েছে। আমরা এক জাতি। কংগ্রেস ১৯৪৭ সালে ভারতকে ভেঙে দিয়েছিল। রাহুল গান্ধীর যদি তার দাদা ভুল করার জন্য কোন অনুশোচনা থাকে তবে ভারতে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র কোন মানে নেই। পাকিস্তান, বাংলাদেশকে ফের যুক্ত করে ‘অখণ্ড’ ভারতের জন্য কাজ করুন।
উল্লেখ্য, বুধবার তামিলনাড়ুতে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেন রাহুল গান্ধী। ১২টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ১৫০ দিনে ৩৫০০ কিলোমিটার হাঁটার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কেরালা, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানা এই মিছিলের বেশিরভাগ রুট প্রদক্ষিন করবে। কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে হারানো জায়গা ফিরে পাওয়ার একটি কৌশল। এ উপলক্ষে আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়। আর তখনই তিনি এই প্রতিক্রিয়া দেন।
সোমবার ভারতে গেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হায়দরাবাদ হাউসে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর মোট ৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রেলপথ, সড়ক, বিদ্যুৎসহ আরও বেশ কিছু চুক্তি রয়েছে। এ অবস্থায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগের কথা বলে বিতর্কের সৃষ্টি করেন হিমন্ত। খবর টাইমস নাউ এর।
তবে অনেকে মনে করছেন, তিনি যে মন্তব্য করেছেন সেটা বড় ধরনের কোনো বিতর্কিত বিষয় নয়। তিনি মূলত: তাদের রাজনৈতিক বিষয়ে একীভূত করার কথা রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি যেটা বলেছেন সেটা অনেক সময় রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।