পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যেন থামছেই না। একের পর এক আলোচনা তৈরী হচ্ছে তার নামে। সম্প্রতি আরো একটি নতুন খবর প্রকাশ হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে অবাক করা একটি বিষয়। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার হেলিকপ্টার ভ্রমণে খরচ হয়েছিল ১০০ কোটি রুপি। সম্প্রতি পাকিস্তানের সিনেটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে।
সেনেটের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নেশন বলেছে যে ইমরান ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটি ভিভিআইপি হেলিকপ্টারে কাজ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৯৪ কোটি ৬৩ লাখ পাকিস্তানি রুপি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ২০০৮ সাল থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের ক্যাম্প অফিসের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ২৬ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি ব্যয় করা হয়েছে।
এর আগে, সরকার পাকিস্তানের সংসদের উচ্চকক্ষকে বলেছিল যে ইমরান ইসলামাবাদের বানিগালায় তার ব্যক্তিগত বাসভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবনে ১,৫৭৯.৮ ঘন্টা হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করেছিলেন, যার খরচ হয়েছে ৪৩৪.৪ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের জন্য মরিয়া পাকিস্তান। ঋণ সহায়তা দিতে দেশটিকে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এরপর ডলারের বিনিময় হারের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয় পাকিস্তান সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে এক ডলার পেতে খরচ করতে হচ্ছে ২৬২ পাকিস্তানি রুপি। এদিকে দেশে জ্বালানি তেলের দামও বাড়ানো হয়েছে।
পাকিস্তানের বর্তমান রিজার্ভ ৬ বিলিয়ন ডলারের কম, যা আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া দেশে গত বছরের ভয়াবহ বন্যার পর মূল্যস্ফীতিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বন্যায় দেশের ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনীতির অবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে আছে। বিশেষ করে দেশটির রিজার্ভ গেলো ৮ বছরের তুলনায় সব থেকে বেশি নিচে নেমে গেছে আর এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশটি এবার হাত পেতেছে আইএমএফের কাছে।