প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সফরে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করেন । তার এই সফর সফল ও ফলপ্রসু হয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা। আ.লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর সফল এবং ফলপ্রসূ হওয়ার কারণে বিএনপি’র ভীষণ মন খারাপ। তারা এই সফলতা নিয়ে ভিন্ন কথা বলা শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুল সাহেবের মন খারাপ। কেন সফর এত ভাল হলো? তাদের কাজ বিভ্রান্তি ছড়ানো। ফখরুল সাহেব বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যস্ত। মন খারাপের কারণে তারা এখন আবোল-তাবোল বলছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল এবং অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সফলতা পাওয়া বিষয়টি হলো ভারতীয় ভূমি ব্যবহার করে অন্যান্য তৃতীয় দেশে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি করা।
তিনি বলেন, অনেক দিন আলোচনার পর এই সফরে তা বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে করে নেপাল-ভুটান চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে তাদের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে। এটা একটা বড় অর্জন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের হাত ধরেই ভারতের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় করা হয়েছে। সমুদ্রসীমা, ছিটমহল আমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই মীমাংসা হয়েছে।
তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন না করার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কোনো বাধা নয়। এটা সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকারের কারণে হয়নি। রাষ্ট্রের বাধার কারণে চুক্তিটি হয়নি। আমরা আশা করছি শিগগিরই তিস্তা চুক্তি হবে। কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা আমাদের বড় অর্জন।
প্রেসক্লাবে বৃক্ষরোপণ করেন মন্ত্রী। এমন আয়োজনের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই কর্মসূচি দেশের মানুষকে উৎসাহিত করবে। দেশে এখন ছাদ বাগান হচ্ছে। ১৯৮৭ সালে দেশে আসার সাথে সাথেই কৃষক লীগকে নিয়ে সারাদেশে বৃক্ষ রোপণ করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলমসহ জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে পরস্পরের সহযোগিতার বিষয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি প্রায় সকল বিষয় আশ্বস্ত করেছেন । তবে নেপাল ভুটান সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশে পণ্য রপ্তানিতে ভারতের ভূমি ব্যবহার করার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।