বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবথেকে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। তার পিতা হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা। বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধু দেশ হলো ভারত। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে করেছেন এবং সেই সফরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের আশা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের আশা করছে বাংলাদেশ। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করা হচ্ছে- ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমন খবর জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করব এবং দেখব কী করা যায়।
এটি (রামপাল বিদ্যুেকন্দ্র) ‘ইচ্ছা তালিকার একটি’। রবিবার ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের সফরে ভারতে আসতে পারেন। এরপর তিনি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ১৩২০ মেগাওয়াট ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশন’ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে। এটি ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মধ্যে একটি ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগ। প্রকল্পের ব্যয় ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারত সফর করবেন এবং দুই থেকে তিন দিন থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোদি সরকার এই সফরকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ ঢাকা ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে আসার আগে কলকাতা-চট্টগ্রাম-মংলা বন্দরের মধ্যে একটি ‘ট্রায়াল রান’ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এর আওতায় কলকাতা থেকে নৌযানটি ৫ আগস্ট মংলা বন্দরে পৌঁছাবে। জাহাজের একটি কনটেইনারে ১৬ টন লোহার পাইপ এবং আরেকটি কনটেইনারে সাড়ে আট টন প্রি-ফোম থাকবে। লোহার পাইপ ভর্তি কন্টেইনারটি তামাবিল-ডাউকি সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে যাবে। প্রি-ফোম ভর্তি কনটেইনার বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর সীমান্ত দিয়ে আসাম রাজ্যে যাবে। এর মাধ্যমে কলকাতা-চট্টগ্রাম-মংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে স্বল্প খরচে পণ্য আমদানি-রপ্তানির বিকল্প পথ তৈরি হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী দেশ হওয়াতে ভারত ভরাবরই আমাদের বিভিন্ন দিক দিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা করে আসছে। শুধুমাত্র এখন নয়, বহুকাল আগে থেকেই ভারত সকল বিপদে আপদে রয়েছে বাংলাদেশের পাশে। পণ্য থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু সহায়তা দিয়ে ভারত সাহাযয় করে থাকে।