মাহমুদুর রহমান মান্না যিনি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, অনেকেই আমাকে একজন কঠোর সমালোচক বলে থাকেন, আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে খুব সমালোনা করে থাকি। তাই তারা আমাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন সাবধানে থাকার জন্য। আচ্ছা, আমি কী সাবধান থাকবো আপনারা বলেন? তবে একটি বিষয়ে নিজেকে সাবধান রাখতে পারি, আর সেটা হলো, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আর কিছু বলবো না।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে কথা বলতেও চাই না। আমি তাঁকে সম্মান করি। তিনি সরাসরি আমার নেতা ছিলেন। আমি সেই দলটি করেছি এবং তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘রাজনীতি, বিজয়ের ৫০ বছর এবং বর্তমানের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের কড়া সমালোচনা করে মান্না বলেন, এই সরকার ধরা খেতে শুরু করেছে। মন্ত্রী ও আইনজীবীরা ধরা খেতে শুরু করেছে। এই সরকারের গণতন্ত্র ধরা খেতে শুরু করেছে। জ’/ঙ্গিবা’দ দম’নের নামে যে চালবাজি, তা ধরা খেতে শুরু করেছে। এই সরকার সব দিক থেকে ধরা খেয়ে যাবে আর বের হতে পারবে না।
সদ্য পথ হারানো তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, মুরাদ তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের নাম ‘উজ্জ্বল’ করেছে। দুবাই কানাডা ঘুরে তাকে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসতে হয়েছে। এমন ধরা খেয়েছে তাকে এখন আর চেনা যায় না। মুখ ঢেকে ক্যাপ পরে তাকে ফিরে আসতে হলো।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে শপথ পাঠ করানো প্রসঙ্গে মান্না বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই বিজয় দিবসে বাংলার জনগণকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। আমি তার সেই পাঠ করানো শপথ থেকে কিছু শেখার জন্য চেষ্টা করেছি।” সেই সময় আমার যেটা মনে হলো, তিনি নিজে শপথ যা করেছিলেন, তিনি কি সেটা সঠিকভাবে পালন করেছেন? ১০ টাকা কেজি দরে মানুষকে চাল খাওয়াবেন, কিন্তু আজ চালের দর কত? ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথাও বলেছিলেন, কিন্তু দেশের ৪ কোটি মানুষ সবসময় বেকার থাকছেন। তাহলে শপথ অনুযায়ী কথা রাখলেন কোথায়?