প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দাবি একটাই- শেখ হাসিনাকে অপসারণ করতে হবে। তিনি কোন দুঃখে আছেন, কেন পদত্যাগ করবেন? কোন দেশের নির্বাচনী নীতি আছে?
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে বিমানবন্দর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের খামার গেট অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বিমানবন্দর এলাকা থেকে মানুষ হেঁটে আসছে। এটি (শুদ্ধি সমাবেশ) একটি মহাসাগরে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার ছাত্র সমাবেশ দেখে ষ/ড়যন্ত্রকারীদের ঘুম নেই। আজ তারা (বিএনপি) এই ছবি দেখে মূর্ছা যাবে, হারিয়ে যাবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন আর বিএনপির একদফা আন্দোলন নেই। কখনও কখনও তারা আন্দোলনে গ্যাপ দেয়। এরপর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন বিএনপি নেতারা। আর বাইরে পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করেন। এর চেয়ে কাপুরুষ আরও আছে! এক কাপুরুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে যান তারেক রহমান। এই লু/টেরা ও ষ/ড়যন্ত্রকারীকে দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি এবং মেনে নেবে না।
সিয়েরা লিওনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কথা শুনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কিছুটা আনন্দ বিরাজ করছে। আপনি সিয়েরা লিওন যা করেছেন তারা তাই করেছেন। আপনারা ক্ষমতায় থাকার জন্য জালিয়াতি করে নির্বাচন করেছেন। যারা আগামী নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না কেন? তারাই অপরাধী।
তিনি আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। সিয়েরা লিওন বা গ্যাবনের কথা বলে লাভ নেই।
সমাবেশের মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সকল সংকটে বঙ্গমাতা ছিলেন সহযোদ্ধা; তেমনি শেখ রেহানাকেও আমরা নেত্রী শেখ হাসিনার সংকটে দেখি। এটি সেই পুরনো দিনের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। এই সংকটে শেখ হাসিনা একা নন, বোন রেহানা দৃঢ় সংকল্প নিয়ে বাবা মুজিবের স্বপ্নের পাশে দাঁড়িয়েছেন।