নারায়নগন্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আর কয়েকদিন মাত্র বাকি রয়েছে, এর এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুই হেভিওয়েট প্রার্থী বেশ জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি সভানেত্রীর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যার কারনে বিএনপির একটি অংশ তার পাশ থেকে সরে গিয়েছে। কারন যেহেতু দল থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাই দলীয় দিক বিবেচনা করে তারাও কিছুটা পিছু টান দিয়েছেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত সত্বেও নির্বাচন থেকে তিনি পিছু সরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি প্রচারনায় গিয়ে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতিও দিয়ে যাচ্ছেন নারায়নগন্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দাদের।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে বলেছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার জেতার মতো লোক। প্রধানমন্ত্রী যদি নারায়ণগঞ্জের ভোটার হতেন আমি তার কাছেও ভোট চাইতে যেতাম এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি আমাকে ভোট দিতেন। বিগত পঞ্চাশ বছরে স্বচ্ছ ও গণমুখী কর্মকাণ্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রীও আমাকে ভোট দিতেন বলে আমার বিশ্বাস।
শনিবার সকালে নাসিকের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে প্রচারণা শুরু করেন তৈমূর। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
তৈমূর বলেন, মানুষ যখন একটা প্রার্থী খুঁজে বেড়াচ্ছিল। তখন জনমানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি প্রার্থী হই। নারায়ণগঞ্জের আপামর জনগণ খেটে খাওয়া মানুষ, জনপ্রতিনিধি, মহিলারাসহ দলমত নির্বিশেষে সকলে আমার সাথে আছে। আমি কোনও দলের সাপোর্টে নির্বাচন করছি না।
শামীম ওসমান ও আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তো আওয়ামী লীগের ভোটও চাই। প্রধানমন্ত্রীর ভোট ও সমর্থনও চাই। আমি তো সকলের ভোট চাই। যাদের নাম আপনারা বলছেন তারাও তো শহরের ভোটার তারা জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন আমি তো তাদেরও ভোট ও সমর্থন চাই।
তিনি আরও বলেন, আমি মাঠে নেমেছি জনগণের সাথে। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের নাগরিক হলে ভোটার হলে তিনিও আমাকে সমর্থন দিতেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারি সব ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে অনুষ্ঠিত হবে, এমনটিই জানিয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তারা। এই নির্বাচনে সাবেক মেয়র প্রার্থীও নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নারায়নগন্জের সাংসদ শামীম ওসমান এই নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন না, কিন্তু সেখানকার রাজনৈতিকরা মনে করছেন শামীম ওসমান এই নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে আসছেন না কিন্তু তিনি ছায়া হিসেবে এই নির্বাচনে থাকতে পারেন।