বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলা সমৃদ্ধিতে কর্মরত তৃতীয় প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের বাবা আবদুর রাজ্জাক( Abdur Razzak ) বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করার আশা করেছিলাম। দেখা করতে না পারার হতাশা নিয়ে আজ বিকেলে গ্রামের বাড়িতে আসব। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে ছেলের নিথর দেহ ফেরত পাওয়ার অনিশ্চয়তার কারনকে লক্ষ্য করে মা-বাবা প্রায় পাগল। এখন বাবা-মা সহ পরিবার বর্গের প্রায় সবাই তাদের এলাকা ছেড়ে সপরিবারে ছেলের নিথর দেহে পাওয়ার আশাকে পুজি করে ঢাকায় এসেছেন বলে সামাজিক গনমাধ্যমকে তথ্যটি দিয়ে নিশ্চিত করেছেন প্রয়াত হাদিসুরের স্বজনেরা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না পেয়ে হতাশ হয়ে ঢাকা থেকে বেতাগীর গ্রামে বাড়ি ফিরছেন হাদিসুরের বাবা-মা। বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলা সমৃদ্ধিতে কর্মরত তৃতীয় প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের( Hadisur Rahman Arif ) পরিবার গত শনিবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকায় এসেছেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী ও রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করা। দুই দিন তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকার মগবাজারে এক আত্মীয়ের ভাড়া বাসায় গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন তারা। সোমবার (৭ মার্চ) সকালে মুঠোফোনে হাদিসুরের বাবা আবদুর রাজ্জাক( Abdur Razzak ) মাস্টার দেশের জনপ্রিয় এক গনমাধ্যমকে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করার আশা করছিলাম।
দেখা করতে না পারার হতাশা নিয়ে আজ বিকেলে গ্রামের বাড়িতে আসব। হাদিসুরের বড় ভাই তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার বড় ভাই হাদিসুর রহমানই আমাদের পরিবারের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ও উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পরিবার এখন তার প্রয়াতের কারনে প্রায় পথে বসার মত। আমরা আমাদের পরিবারের দুর্দশার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাই এবং তার সাহায্য চাই। গত বুধবার ইউক্রেনে রাশিয়ার রকেট হামলার শিকার হন ২৯ বাংলাদেশি নাবিক। তাদের মধ্যে ইউক্রেনে রকেট হামলায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফ (২৮) প্রয়ত হয়েছেন। প্রয়াত হাদিসুর বাদেও তার মা-বাবার আরো দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে
উল্লেখ্য, রাশিয়ান রকেট হামলার স্বীকার হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলা সমৃদ্ধিতে কর্মরত তৃতীয় প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের পরিবার শনিবার ৫ই মার্চ সকালে ঢাকায় এসেছেন। বাবা-মাসহ তিন ভাইবোনের লক্ষ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করার। তবে গত( Past ) শনি-রবিবার তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মেলেনি। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা ঢাকার মগবাজারে এক আত্মীয়ের ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেয় এবং সোমবার ৭ই মার্চ বিকেলে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন বলে প্রয়াত হাদিসুরের বাবা গনমাধ্যম কর্মীদের জানান।