সারাদেশে অনেক দরিদ্র মানুষের বসবাসের স্থান ও বাড়ি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে অনেক মানুষ আশ্রয়ান প্রকল্পের ঘর পেয়ে বসবাস শুরু করে দিয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে আশ্রয়ান প্রকল্পের ঘর পেতে হলে মোটা অংঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে ক্ষমতাসীন লোকদের।
এই অভিযোগে সম্প্রতি ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রূপা বেগমের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার টাকা নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সালথা থানায় মিরাজ হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম ছাড়াও তার স্বামী হায়দার মোল্যা (৫৫) ও তার ভাই মোকাদ্দেস মিয়াকে (২৮) আসামি করা হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আব্দুর রহমান নামের এক ভিক্ষুকের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগমের স্বামী। হায়দার মোল্যার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ১৫ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ১৬ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন। এরই মধ্যে একই অভিযোগে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, মিরাজ নামে এক ভুক্তভোগী ২০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য মামলা করেছেন।
তবে সালথা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম বাড়ির জন্য চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এটাকে ষড়যন্ত্র বলেছেন।
এদিকে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বর ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ।
বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র মানুষকে বসবাসের স্থান করে দিলেও ক্ষমতাসীন লোকেরা প্রভাব খাটিতে সাধারন মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর আগেও এমন অভিযোগে অনেক আওয়ামী লীগের নেতাদের আটক করেছে পুলিশ। তবে অনেকের অভিযোগ গ্রেফতার হওয়ার পরেও অনেক নেতারা মুক্তি পেয়ে সাধারন মানুষের অধিকার লুন্ঠন করছে।