শিবচরের নূর-ই আলম চৌধুরী আডিটোরিয়ামে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দারিদ্র পরিবারের মেধাবী দুই ছাত্রীর হাতে দুইটি ল্যাপটপ তুলে দেন জাতীয় সংসদের মাননীয় চীফ হুইপ ও মাদারীপুর ১ শিবচর আসনের সংসদ সদস্য, নূর-ই আলম চৌধুরী এমপি।
জানা যায় ২০২৩ সালের এসএসসি পরিক্ষায় শিবচর দুই দারিদ্র ভ্যানচাল পরিবারের মেয়ে শারমিন ও সুমাইয়া জিপিএ ৫ অর্জন করেন। সারমিন উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের দূর্গম চরাঞ্চলের বৃদ্ধ ভ্যান চালক আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে। পরিবার থেকে পড়ালেখার জন্য কোনো খরচ বহন করতে না পারায় নিজে আয় করে পাঁচ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয় স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবং সুমাইয়া আক্তার শিবচরের মাদবরচর ইউনিয়নের লপ্তীকান্দি গ্রামের দারিদ্র ভ্যানচালক হাবি মোল্লার মেয়ে। দুটো পরিবারই পদ্মা নদী ভাঙ্গনে সব হারিয়ে নিঃশ হয়ে পরা অতি দ্রারিদ্রতায় ভুগছে। সুমাইয়া ও শারমিনের পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী।
গত ০৯ সেপ্টেম্বর শিবচরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক তার বক্তব্যে দারিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও সারমিনকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পক্ষ থেকে দুইটি ল্যাপটপ উপহারের ঘোষণা দেন।
শিবচরের সারমিন ও সুমাইয়াকে ল্যাপটপ উপহার পাঠিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়
ল্যাপটপ উপহার পেয়ে সুমাইয়া ও সারমিনের খুশি যেন আকাশ ছোয়ার!
সারমিন বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ল্যাপটপ দিয়েছেন, আমার পড়ালেখার দায়িত্ব চীফ হুইপ স্যার নিজে নিয়েছেন, আমার এর থেকে বড় আনন্দ আর কি হতে পারে!
দৈনিক অধিকারের সাথে কথা হয় সুমাইয়ার। তিনি বলেন, আমি একজন ভ্যানচালকের মেয়ে, আমার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ল্যাপটপ পাঠিয়েছেন, চীফ হুইপ পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বাড়িতে মিষ্টি পাঠিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবারের সবই কৃতজ্ঞ।
এদিকে সারমিন ও সুমাইয়ার হাতে ল্যাপটপ তুলে দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে দিয়েছে ২১ আগষ্ট ও ৬৪ জেলায় বোমা উপহার, আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দিয়েছে ল্যাপটপ উপহার।