নিজ নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের বরাত দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের ঘোষণার পর নির্বাচন জমে গেছে। ভোটাররা যখন তুচ্ছ কারণে ভালো প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হতে দেখেন তখন সেটা ভালো পরিবেশ নয়। মানুষ বলে কি ভোট।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রার্থিতা ফেরত পেতে আপিল করার পর তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ভোটারদের স্বাক্ষরে জটিলতার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ আসনের এই স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন স্বাক্ষর পদ্ধতি বাতিলের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন না থাকায় আমার মতো একজন ব্যক্তি তার প্রার্থিতা বাতিল করেছেন। এটা খুবই গুরুতর বিষয়।” এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের বাইরে রাখার কৌশল বলেই মনে হচ্ছে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার মনোনয়ন বাতিলের খবরে সাধারণ মানুষ বলছে, ষড়যন্ত্র করে ভালো মানুষের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আমি মনে করি এই আইন পরিবর্তন করা উচিত। কেউ না করলে নিজ উদ্যোগে কাজ করব।
তিনি বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশন আমার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেবে। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হতে পারব।
সাবেক এই ভিসি বলেন, আমার ভাই নেত্রকোনা-৫ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি অসুস্থ থাকায় এবার প্রার্থী হয়েছি। আওয়ামী লীগের সমর্থনে দলীয় মনোনয়ন কিনেছি, কিন্তু দলীয় সমর্থন পাইনি। তাই স্বতন্ত্র নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।