২০২২ সালের ৩০ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেই সময় বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালীন সাতক্ষীরায় একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনি সড়ক পথ ধরে মাগুরা আসছিলেন। এ সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া নামক স্থানে তার গাড়িবহর পৌঁছালে, তিনি একদল স”ন্ত্রা/সীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কোনরকম ক্ষতি না হলেও তার বেশ কয়েকজন সফরসঙ্গী দারুন ভাবে আহ’ত হন। এই ঘটনার মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক ছাত্রদল নেতা জাবিদ রায়হান লাকিকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি প্রয়াত হয়েছেন।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কারা পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ”ত্যু হয়। জাবিদ রায়হান লাকি জেলার কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল, পৌর ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন জানান, কারাগারে থাকা অবস্থায় সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা লাকির ডায়াবেটিস হয়। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়নি। মিথ্যা মামলায় তাকে সাড়ে চার বছরের সা”জা দেওয়া হয়েছে। পৃথক একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে লাকিকে উন্নত চিকিৎসায় খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে সাতক্ষীরায় আনা হয়। সাতক্ষীরা মেডিকেলে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে তার প্রয়ান ঘটে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কুদরত-ই-খুদা জানান, এর আগে তার স্ট্রোক হয়েছিল। তিনি ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের সংক্রমণের পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার প্রয়ান ঘটে।
সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার মামুনুর রশিদ জানান, আসামি লাকির অনিয়ন্ত্রিত ও অতিমাত্রায় ডায়াবেটিস ছিল। তাছাড়া তার শরীরের বাম পাশ অব”শ হয়ে যায়। তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার প্রয়ান ঘটে।
এদিকে ছাত্রদল নেতাকে চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়েছে। এমন ধরনের প্রশ্ন করা হলে, তিনি জবাবে বলেন, যে ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। এর আগেও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আমরা খুলনায় নিয়ে গিয়েছি এবং সেখানে তার চিকিৎসা হয়েছে। যে কেউ প্রয়াত হতে পারেন। তবে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা কোনভাবেই বাস্তবতার সাথে মিল নেই।