সম্প্রতি দেশে দুটি বিভাগে নাম করন নিয়ে বেশ আলোচনা বিরাজ করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি নিজেই এই নামকরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নামকে ঘিরে স্থানীয় জনগনের মাঝে ভিন্ন প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। তারা আগের নামেই বিভাগ চান। তবে প্রধানমন্ত্রী আগের নামে বিভাগ করতে রাজি নয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন না এর কারন জানালেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লা নামে বিভাগ দিতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষকদলের আয়োজনে মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন রিজভী। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা নামে বিভাগ দিতে চান না। কিন্তু কেন? কীসের এত রাগ, এত ক্ষোভ? উনি বলেছেন কুমিল্লার নামে না দিয়ে মেঘনা আর ফরিদপুরকে পদ্মা নামে বিভাগ দেবেন। মানুষ ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার এমন বক্তব্যে কুমিল্লার মানুষ অত্যন্ত মর্মাহত। একজন ব্যক্তির প্রতিহিংসায় হাজার বছরের নাম তিনি মুছে দিতে চান কেন? দেশের মানুষকে আহত করে তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন এটাতো হতে দেওয়া যায় না।
পায়রা ব্রিজ উদ্বোধন করতে গিয়ে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আমি এত কিছু করলাম অন্যরা চোখে দেখে না। তারা নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ঘটনার জন্ম দিচ্ছে কারা? কুমিল্লা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার সঙ্গে আপনার ছাত্রলীগ জড়িত মিডিয়াতে তা প্রকাশ পাচ্ছে। আর এগুলো হচ্ছে আপনার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এ অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই পূজামণ্ডপে হা/ম/লা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছেন।
দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি। এই দল দুটি প্রায় সময় নানা ইস্যুকে নিয়ে একে অন্যের সাথে আলোচনা-সমালোনচায় মেতে উঠে। এই আওয়ামীলীগ দলের নেভানেত্রী এবং বর্তমান বাংলাদেশ সরকার নিজেও বিএনপিকে নিয়ে প্রায় সময় নানা ধরনের সমালোচনায় মেতে উঠেন।