নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে দলে ক্যু হওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, জিএম কাদের অবৈধভাবে দলের নেতৃত্ব দখল করেছেন।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান রওশন এরশাদ।
তার সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে সাদ এরশাদ ও মুখপাত্র মামুনুর রশীদ। বৈঠকের পর গণমাধ্যমে হাতে লেখা বিবৃতি পাঠান রওশন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বর্ণনা দেন।
রওশন এরশাদ লিখেছেন, ‘জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি।
তিনি বলেন, জিএম কাদের অবৈধভাবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন এবং সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে আমাকে, আমার ছেলে সাদ এরশাদসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সরিয়ে দলের নেতৃত্ব নিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সব বিষয় জানিয়েছি।
রওশন এরশাদ আরও লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে খণ্ডিত জাতীয় পার্টি এবং জি এম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করার অনুরোধ করেছি।’
এদিকে রওশনের অভিযোগের বিষয়ে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক চুন্নু।
প্রশ্ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষ জানে ২০১৯ সালে জিএম চেয়ারম্যান হন এবং সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। সে ক্ষেত্রে ক্যু করার সুযোগ কোথায়। ক্যু তো হলো কাউকে সরিয়ে দেওয়া। জি এম কাদের তো কাউন্সিলের মাধ্যমে চেয়ারম্যান হয়েছেন। উনি তো কাউকে সরিয়ে দেননি।
কাজেই ক্যুর তো প্রশ্নই ওঠে না।
চুন্নু বলেন, ‘আমরা ম্যাডাম (রওশন), সাদ এরশাদসহ অন্য একজনের মনোনয়নপত্র নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলাম। এটা নিশ্চয়ই আমাদের সৎ মনোভাব প্রকাশ পায়।
আসন ভাগাভাগি বা জোট নিয়ে জাতীয় পার্টির কোনো কার্যক্রম নেই বলেও উল্লেখ করেন চুন্নু। তিনি বলেন, জাতীয় দলের পক্ষ থেকে আমরা নিজেদের মতো করে মনোনয়ন ও নির্বাচন নিয়েছি।নির্বাচনের ব্যাপারে দলের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।