বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করছিলেন রনি নামের এক যুবক। তিনি রেলওয়ে স্টেশনে অনিয়ম এবং প্রতারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য মানববন্ধন শুরু করেন। অবশেষে কোন কিছুই যখন কাজে আসছিল না তখন তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। স্বয়ং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনাকে সরাসরি স্মারকলিপি প্রদান করবেন, স্মারকলিপিতে তার দাবি উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছয় দফা স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। সোমবার বিকেল ৪টায় মহিউদ্দিন রনি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে সহযোগীদের নিয়ে স্মারকলিপি দেন। আওয়ামী লীগ সম্পাদক সায়েম খান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এরপর বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন মহিউদ্দিন রনি।
রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবনের পদ্মা হলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রনি। মি
মহিউদ্দিন রনি বলেন, বৈঠকে উভয় পক্ষের আলোচনার পর নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেলপথ সচিব এবং মহাপরিচালকের সম্মতিতে, আমাকে সমস্ত অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা উত্থাপন এবং আমার ছয়-পদক্ষেপ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য একজন প্রতিনিধির সাথে রেলপথ মন্ত্রনালয়ের স্টেকহোল্ডার সভায় উপস্থিত থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
আমার ছয় দফা দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখে এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালকের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে দেশের সাধারণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করার ঘোষণা দিচ্ছি। আর ঠেকাতে তৃতীয় কেউ আমার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে।
মহিউদ্দিন রনি বলেন, তবে যদি দেখি আমার দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না বা সময় নষ্ট হচ্ছে, তাহলে আমি আবার আন্দোলনে যাব। এই আন্দোলনে দুর্নীতি বিরোধী দেশপ্রেমিক ও সকল সৎ নাগরিক আমার সাথে থাকবেন বলে আশা করছি।
ছয় দপা দাবির বিষয়টি এখনো পরো পুরি খোলাসা করে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ওই স্মারক লিপিতে যে ছয় দফা দাবি করারা হয়েছে সেই ছয়টি দফা আসলে কি কি সেটা এখনো প্রকাশ পায়নি। তবে ধারনা করা যাচ্ছে আগামি দুই এক ঘন্টার মধ্যে সেটি প্রকাশ পাবে।