বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বার্ধক্যজনিত কারনে প্রায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে তাকে। এদিকে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশের বাইরে নেয়া প্রয়োজন বলে দাবি বিএনপি নেতাকর্মীদের। আর এ জন্য একের পর এক সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তারা, কিন্তু এ আবেদনে এখনও সাড়া না পাওয়ায় রীতিমতো হতাশ নেতাকর্মীরা।
আর এরই মধ্যে এবার খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি চায়। এই মুক্তির জন্য আপনাদেরকে (নেতাকর্মীদের) শপথ নিতে হবে যে আমরা রাজপথে আছি। রাজপথই আমাদের ঠিকানা। তা না হলে কেউ বাঁচতে পারবো না। শেখ হাসিনা ভয়ঙ্কর এক নীলনকশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই নীলনকশা ব্যর্থ করে দিতে হলে আমাদেরকে রাজপথে স্থায়ীভাবে বাড়িঘর তৈরি করে থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, আমরা সুলতানা রাজিয়ার কথা শুনেছি। আপনি কি সুলতানা শেখ হাসিনা হতে চাচ্ছেন? আপনার গণতন্ত্রের দরকার নাই, ভোটের দরকার নাই, নির্বাচনের দরকার নাই।
এখন সুলতানা শেখ হাসিনা হয়ে জমিদারের শাসন কায়েম করতে চান। এটা বাংলাদেশ কোনদিন হতে দিবে না। বাংলাদেশ কোন স্বৈরশাসকে বেশি দিন টলারেট করেনি। আপনার সরকার পতনের সাইরেন বাজছে। চারিদিকে ঘণ্টা বাজছে।
এদিকে সম্প্রতি গত বেশকিছু দিন রাজধাণী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে রোববার বিকেল ৫ টার দিকে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওণা দেন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর গতকাল আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সর্বদা তার খোঁজ-খবর রাখছেন নেতাকর্মীরা