জনপ্রিয় কোনো ব্যক্তি বা নেতাকে নিয়ে অনেক মানুষের ইচ্ছা থাকে। কেউ কেউ চান তাদের একপলক দেখতে আবার কেউ কেউ চান তাদেরকে আপ্যায়িত করতে। এবার তেমনই একজন নারীর শখ ও ইচ্ছার কথা উঠে এলো সংবাদ মাধ্যমে। অথিতি পরায়ণ সাহেরা বানুর স্বল্প ইনকাম তবুও তার ইচ্ছা অতুলনীয়।
কখনো প্রতিবেশীর বাড়ি, কখনো আত্মীয়ের বাড়িতে, কখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস। নিজ জমিতে বসবাসকারী সমাজের আর দশজন সদস্যের মতো নয়। এক জায়গা থেকে বিতাড়িত হলে অন্য জায়গায় বসতি স্থাপন করবে। তুচ্ছতা আর মানুষের অবহেলা তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। অনেকে ঝুপড়ি ও পলিথিনের ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন।
বলছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রানিয়াচং শেল্টারের কয়েকজন বাসিন্দার জীবনের কথা। সাহেরা বানু, সাবেরা বেগম, সুচিত্রা দাস, বেনু সরকার সবাই আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা। ভালো ভাবেই খেয়ে পরে চলছে তাদের জীবন। আর দশটা মানুষের মতো তাদের জীবন এখন। অনেক দিন ধরেই এমন একটি জীবন প্রত্যাশা করে আসছে তারা।
তিন মেয়েকে বিয়ে করেছেন সাহেরা বানু (৬০)। তারা স্বামীর বাড়িতে থাকে। থাকার জায়গা ছিল না। আশ্রয় পেয়ে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। নিজের বাড়ির বারান্দায় একটা ছোট দোকান দিয়েছেন নিজের চলার জন্য। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের কাছে বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে তার সংসার।
সাহেরা বানু বললেন,আল্লাহ শান্তি করছে। ঘর নেই, দেইক্কা মাইনাসের কথা হুনছি।এর থেইক্কা শান্তি আর নেই।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সাহেরা বানু বলেন, আমি সাহেরা বানু, শেখ হাসিনাকে সালাম জানাই। ইনশাআল্লাহ আমি রানিয়াচং থাহি। আমি খুব শান্তিতে আছি। আমি টাইনারকে আমার বাসায় খেতে দাওয়াত দিলাম। গআমি গরিবের ঘরটা দেইক্কা যাইব আর খাইয়া যাইব.ইনশাআল্লাহ
সাহেরা বানুর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, মেঝেতে কার্পেট বিছানো বেশ পরিপাটি ঘর। প্রধানমন্ত্রী কোথায় থাকবেন তার জন্য বেড ঠিক করে রেখেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খান শাওন জানান, সাহেরা বানু রানিয়াচং আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তার আশ্রয়ে খাওয়াতে চান। শুনেছি তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য খাটওও বানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে অনেকেই অনেক কিছু উপহার স্বরূপ দিয়ে থাকেন অনেকে। তবে এবার উপহার নয় একবেলা খাওয়ানোর ইচ্ছা সাহেরা বানুর। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এমন ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ উপজেলা সহকারী কমিশনার সহ আরও ও অনেকে। অবশেষে কি সাহেরা বানুর ইচ্ছা সম্পন্ন হবে এমন ধরনের প্রশ্ন এলাকাবাসীর।