পটুয়াখালীর ( Patuakhali ) পায়রা নদীর তীরে বেড়ে ওঠা চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল ছাত্র শীর্ষেন্দু, এই ছোট্ট বালক প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে পাঠিয়েছিলেন একটি চিঠি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানোর কারণটি ছিল তাকে স্কুলে যেতে পাড়ি দিতে হতো অনেক বড় নদী। সে সহ তার সহপাঠীদের যাতে কষ্ট লাঘব হয়, সেজন্যই নদীর উপরে সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছিলেন চিঠি। একটু দেরিতে হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা এই শি”শুটির অনুরোধে সাড়া দিতে ভুলে যাননি।
পটুয়াখালীর ( Patuakhali ) চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের ( Shirshendu faith ) চিঠির অনুরোধে পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। মঙ্গলবার (২২শে মার্চ) রাজধানীর সেতু ভবনে দক্ষিণ ( South ) কোরিয়ার সামহোন কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশের ( Bangladesh ) মীর আখতার ( Mir Akhtar ) জয়েন্ট ভেঞ্চারের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।প্রায় ১ হাজার ৬০০ মিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ( Sheikh Mujibur Rahman ) শাহাদতবার্ষিকীতে যোগ দিতে স্কুলে যাওয়ার সময় ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট ( August ) প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর চিঠি প্রথমে তিনি তার মায়ের হাতে তুলে দেন। এরপর তার মা চিঠিটি প্রধানমন্ত্রী বরাবর পোস্ট করেন। শীর্ষেন্দু বিশ্বাস তখন পটুয়াখালী সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের ( Patuakhali Government Jubilee High School ) চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
শীর্ষেন্দুর চিঠির জবাবে, আগামী মাসে কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোয়ালিয়া-কালাইয়া সড়কে পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।ওবায়দুল কাদের বলেন, পটুয়াখালীর ( Patuakhali ) চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ( Sheikh Hasina ) চিঠি দিয়েছিলেন।তিনি বলেন, বাঙালির আস্থার প্রতীক বঙ্গবন্ধু কন্যা এই শিশুটির অনুরোধে সাড়া দিয়ে তা আরও একবার প্রমাণিত করলেন, যা বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, নদীর উপরে সেতু নির্মাণের চুক্তি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাস্তবায়ন করার পর ঐ এলাকার মানুষের মাঝে খুশির জোয়ার বইছে। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে ২২শে মার্চ রাজধানীর সেতু ভবনে। ছেলেটির অনুরোধ অবশেষে প্রধানমন্ত্রী রাখলেন। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ছেলেটির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।