বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন জনেনত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষতা ও সুবিবেচনার সহিত পরিচালনা করে যাচ্ছেন দেশকে। প্রধানমন্ত্রী শাখ হাসিনা হলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। মূলত প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে অনেক ক্ষমতা। তিনি অতি সম্মানীয় একজন ব্যক্তি। সম্প্রতি জানা গেল প্রধানমন্ত্রীকে কুটূক্তি করায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে করা হয়েছে ভিষ্কার।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) চার শিক্ষার্থীকে প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা ও উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের দায়ে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিভাসুর রেজিস্ট্রার মির্জা ফারুক ইমাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হান্নান হল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৪ জুন) অফিস আদেশ জারি করা হয়।
বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন সিভাসুর ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বোরহান উদ্দিন মো. সাজ্জাদ, মোমিন বিন রহিম, তসলিম উদ্দিন এবং মোহাম্মদ তানভিরুল ইসলাম।
সূত্রমতে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথ্য পায় যে চার শিক্ষার্থী মহানবী (সা.) অবমাননার ইস্যুতে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ছাত্রাবাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল, এমন খবর পেয়ে সংশ্লিষ্টরা তাদের তৎপরতা অনুসরণ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পেয়ে প্রথমে তাদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম ইমাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবমাননা, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে সাময়িকভাবে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপাচার্য ছুটিতে আছেন। তিনি যোগদানের পর তদন্ত কমিটি গঠনসহ একাডেমিক বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হলেন সবার কাছে উচ্চ সম্মানের একজন পাত্র। তাকে অবমাননা ও কুটূক্তি করা বড় ধরণের একটি অন্যায়মূলক কাজ এবং কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রধানমন্ত্রীকে কুটূক্তি করা মানে সম্পূর্ণ দেশ ও জাতিকে অবমাননা করা। এই ধরণের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়।