Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / প্রধানমন্ত্রীই হোক অথবা জেনারেল ওসমানীই হোক, কেউ ছিল : গয়েশ্বর

প্রধানমন্ত্রীই হোক অথবা জেনারেল ওসমানীই হোক, কেউ ছিল : গয়েশ্বর

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থাকতে আবারও ভিন্ন কৌশল নিচ্ছে। তারা বুঝতে পেরেছে দেশের মানুষ তাদের আর বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসতে দেবে না সেজন্য বিরোধী দলের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে আক্রমন চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রকাশ পায় সরকার জনসমর্থন হারিয়েছে সে জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে গু/লি চালাচ্ছে। গণমাধ্যমের অবস্থা হুইলচেয়ারের মতো মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

গণমাধ্যমের অবস্থা হুইলচেয়ারের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আড়াল থেকে ভয় দেখানো কোনো সভ্য দেশে বা কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রে কখনোই সম্ভব না।

গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অন্যের পরিপূরক। কোনোটিই তো নেই! কোনটি কার পরিপূরক? দু’জনেই দুঃসময়ে কাঁধে হাত রেখে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতে পারে। কারণ, গণমাধ্যমের দুর্দশা, আর গণতন্ত্র তো নাই-ই।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার সোসাইটির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র কীভাবে একে অপরের পরিপূরক হবে? তাদের কেউই শক্তিশালী নয়। যদি গণমাধ্যম সফল হয় তাহলে গণতন্ত্র দুর্বল হতে পারে না। আর সত্যিকারের গণতন্ত্র হলে মিডিয়ার দুর্বলতা প্রকাশের সুযোগ নেই। এর প্রধান কারণ ফ্যাসিবাদী সরকার নয়, একটা সম্পদ লুণ্ঠনকারী সরকার।

তিনি বলেন, ছোট দেশ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়। যারা এই টাকাটা পাঠিয়েছে তারা তো এটি আয় করেছে। এই আয়ের নামেই লুটপাট। আর তা করা হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। অর্থাৎ বড় বড় প্রকল্প করা। বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগ চলাকালীন সমং ৫০ টাকার জিনিসও ৫০০ টাকায় কেনা হয়েছে। আর বালিশ-পর্দার কথা তো সবাই জানে। আজকের সরকার আলিবাবা চল্লিশ চোরকেও হার মানিয়েছে। চুরি করছে, লুটপাট করছে, ডাকাতি করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, সংবাদপত্র যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে তাহলে বিরোধী দল যা করতে না পারে তার থেকে বেশি সরকারকে চাপে রাখতে পারে, অপকর্ম থেকে বিরত রাখতে পারে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেও বিরোধী দলে থাকলেও সমালোচিত। মতাসীন দলের লোকদের প্রশংসা ব্যতীত অন্য কথা বললে কারো হাত পা কাটা যায়, কেউ গু/ম হয়ে যায়।

বিএনপির বিরুদ্ধে লিখলে আর যাই হোক এগুলো হয় না। কেউ আমার বিরুদ্ধে লিখলে আমি ভুলেও তাকে টেলিফোন করি না। আমার একটা আত্মবিশ্বাস আছে; তার লেখা সে লিখবে, আমাকে যারা চিনে তারা যদি মনে করে এটা সত্য, আর যদি মনে করে মিথ্যা তাহলে তারই ক্ষতি। আমার যেটা ভালো লিখবে, আমার খারাপও লিখবে।

ধ/র্ষকদের শাস্তি হবে বলেও জানান গয়েশ্বর। মানবতা বিরোধী আদালত থাকবে। আমরা দেশীয়দের শাস্তি দিতে পেরেছি। কিন্তু পাকিস্তানি সেনাদের শাস্তি দিতে পারিনি। কারণ ভারতীয় মধ্যস্থতায় তাদের পাকিস্তানে ফেরত দিতে হয়েছে। নেওয়াজি আত্মসমর্পণ কার কাছে করলো বাংলাদেশের? কেন উপস্থিত থাকল না, কেন থাকতে পারল না, সে অস্থায়ী সরকারের প্রধানই হোক, প্রধানমন্ত্রীই হোক অথবা জেনারেল ওসমানীই হোক। কেউ ছিল?

প্রসঙ্গত, সরকার গনমাধ্যমকে স্বাধীন না যার কারনে গণমাধ্যমে সরকার বিরুদ্ধে লিখতে পারে না্ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি আরও বলেন, এ সরকার সমস্ত অকর্মে বিচার করা হবে।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *